ঢাকা ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

আমনের মাঠে সোনালি উৎসব, তবু হাসি নেই চাষিদের মুখে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০
  • ২৫৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাগেরহাটের শরণখোলায় আমনের মাঠে চলছে সোনালি উৎসব। ধুম পড়েছে ফসল কাটার। নতুন ধানের মম গন্ধে ভরে উঠেছে বাড়ির আঙিনা, মাঠঘাট, পথ-প্রান্তর। চাষি ও কৃষি শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছে এখন। তবে, নতুর ফসল ঘরে তোলার আনন্দ যেমন রয়েছে, তেমনি হতাশাও কম নয় চাষিদের।

এর কারণ হচ্ছে, মৌসুমের শুরু থেকে কয়েক দফা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং পোকার আক্রমণে বেশ ক্ষতি হয়েছে আমনের। যে পরিমাণ ফসলের আশা নিয়ে চাষাবাদ করা হয় তা পূরণ হবে না তাদের। অতি বৃষ্টি এবং কারেন্ট ও লেদা পোকার আক্রমণে এ বছর উৎপাদন অনেক কম হওয়ার কথা বলেছেন চাষিরা। যার ফলে, গতবারের তুলনায় ধানের দাম বেশি হলেও হাসি নেই চাষির মুখে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, অতি বৃষ্টির ফলে উন্নত ফলনশীল (উফশী) জাতের ধানের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। স্থানীয় জাতের ধানে তেমন ঘাটতি হবে না। গত বছর আমন উৎপাদন হয়েছিল ২৩ হাজার মেট্রিক টন। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪ হাজার মেট্রিক টনের। দুর্যোগ ও কিছু কিছু এলাকায় পোকার আক্রমণে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫০০মেট্রিক টন ফসল কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, গতবার এই সময়ে ধানের মণ ছিল ৭০০ টাকা। কিন্তু এবার তা এক হাজার টাকা। যার ফলে, কিছুটা ক্ষতি হলেও চাষিরা তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

এদিকে, মাঠের বাস্তব অবস্থা দেখে এবং চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমের মাঝামাঝি উফশী জাতের ধানে যখন ফুল আসে তখনই টানা কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিাপাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এর পরে শুরু হয় ইঁদুর ও পোকার আক্রমণ। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকার আমনে ক্ষেতে বালাই দেখা দেয়। এসব কারণে ফসল কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের চাষি মহারাজ খান জানান, এবছর তিনি সাত বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। কিন্তু কারেন্ট পোকায় তার ফসলের সর্বনাশ করেছে। গতবছর বিঘাপ্রতি যে জমিতে ৫০ মণ ধান হয়েছে, এবার সেখানে হয়েছে ৩০-৩৫ মণ। এভাবে উপজেলা বিভিন্ন এলাকার আমনের মাঠ ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সঙ্গে কথা বলে একই ধরণের তথ্য পাওয়া গেছে।

শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াসীম উদ্দিন বলেন, উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকার ফসল কর্তন করে পরিমাপ করে দেখা গেছে বিঘায় ৪০ মণ ফলন হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় পোকা অক্রমণ করায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে। এতে বড় ধরণের ঘাঠতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।  তাছাড়া, আমরা মাঠে গিয়ে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং করাসহ পোকা দমনে চাষিতে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

আমনের মাঠে সোনালি উৎসব, তবু হাসি নেই চাষিদের মুখে

আপডেট টাইম : ০৬:১০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাগেরহাটের শরণখোলায় আমনের মাঠে চলছে সোনালি উৎসব। ধুম পড়েছে ফসল কাটার। নতুন ধানের মম গন্ধে ভরে উঠেছে বাড়ির আঙিনা, মাঠঘাট, পথ-প্রান্তর। চাষি ও কৃষি শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছে এখন। তবে, নতুর ফসল ঘরে তোলার আনন্দ যেমন রয়েছে, তেমনি হতাশাও কম নয় চাষিদের।

এর কারণ হচ্ছে, মৌসুমের শুরু থেকে কয়েক দফা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং পোকার আক্রমণে বেশ ক্ষতি হয়েছে আমনের। যে পরিমাণ ফসলের আশা নিয়ে চাষাবাদ করা হয় তা পূরণ হবে না তাদের। অতি বৃষ্টি এবং কারেন্ট ও লেদা পোকার আক্রমণে এ বছর উৎপাদন অনেক কম হওয়ার কথা বলেছেন চাষিরা। যার ফলে, গতবারের তুলনায় ধানের দাম বেশি হলেও হাসি নেই চাষির মুখে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, অতি বৃষ্টির ফলে উন্নত ফলনশীল (উফশী) জাতের ধানের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। স্থানীয় জাতের ধানে তেমন ঘাটতি হবে না। গত বছর আমন উৎপাদন হয়েছিল ২৩ হাজার মেট্রিক টন। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪ হাজার মেট্রিক টনের। দুর্যোগ ও কিছু কিছু এলাকায় পোকার আক্রমণে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫০০মেট্রিক টন ফসল কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, গতবার এই সময়ে ধানের মণ ছিল ৭০০ টাকা। কিন্তু এবার তা এক হাজার টাকা। যার ফলে, কিছুটা ক্ষতি হলেও চাষিরা তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

এদিকে, মাঠের বাস্তব অবস্থা দেখে এবং চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমের মাঝামাঝি উফশী জাতের ধানে যখন ফুল আসে তখনই টানা কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিাপাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এর পরে শুরু হয় ইঁদুর ও পোকার আক্রমণ। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকার আমনে ক্ষেতে বালাই দেখা দেয়। এসব কারণে ফসল কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের চাষি মহারাজ খান জানান, এবছর তিনি সাত বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। কিন্তু কারেন্ট পোকায় তার ফসলের সর্বনাশ করেছে। গতবছর বিঘাপ্রতি যে জমিতে ৫০ মণ ধান হয়েছে, এবার সেখানে হয়েছে ৩০-৩৫ মণ। এভাবে উপজেলা বিভিন্ন এলাকার আমনের মাঠ ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সঙ্গে কথা বলে একই ধরণের তথ্য পাওয়া গেছে।

শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াসীম উদ্দিন বলেন, উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকার ফসল কর্তন করে পরিমাপ করে দেখা গেছে বিঘায় ৪০ মণ ফলন হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় পোকা অক্রমণ করায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে। এতে বড় ধরণের ঘাঠতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।  তাছাড়া, আমরা মাঠে গিয়ে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং করাসহ পোকা দমনে চাষিতে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।