ঢাকা ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

জাপা মহাসচিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৯:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০১৬
  • ৩৯১ বার

দুর্নীতি মামলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে যশোরের একটি আদালত।একই সঙ্গে এই মামলার আরেক আসামি মীর শহিদুল্লাহ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। সোমবার যশোরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এই নির্দেশ দেন।

আসামি মীর শহিদুল্লাহ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ কেরুয়া গ্রামের হাজী মীর আবদুর রশিদের ছেলে এবং যশোরের নওয়াপাড়ার বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সাবেক প্রধান সময়রক্ষক ও এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলে চাকরির সময় ১৯৮৮ সালের ৬ মে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সময়রক্ষক ও এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর শহিদুল্লাহ চাকরিচ্যুত হন। ১৯৮৯ সালের ১৭ আগস্ট বেতন বিহীন শর্ত সাপেক্ষে বস্ত্র ও শিল্প কর্পোরেশন মন্ত্রণালয়ের আদেশে আবার তার চাকরি বহাল রাখা হয়। সে মোতাবেক পাঁচ দিন পর ২৩ আগস্ট তিনি চাকরিতে যোগদান করেন।

এরপর তিনি সে সময়ের বস্ত্র ও শিল্পমন্ত্রী বর্তমান জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক নুরুল হক এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগসাজসে ১৯৯০ সালের ৩০ আগস্ট এক লাখ ৬১১ টাকা বেতন উত্তোলন করেন।

এই অনিয়মের ঘটনায় যশোর জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক সুখরঞ্জন জমাদ্দার বাদী হয়ে ১৯৯২ সালের ২৮ জুলাই অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মীর শহিদুল্লাহ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নূরুল হক এবং হুমায়ুন কবিরসহ চারজনকে আসামি করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন সহকারী পরিচালক আবুল বাসার এ মামলায় মীর শহিদুল্লাহ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। আর এ মামলা থেকে অব্যাহতি পান নুরুল হক হুমায়ুন কবির।

এরপর ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি রুহুল আমিন হাওলাদার যশোর আদালত থেকে জামিন নেন। কিন্তু এরপর আর তিনি আদালতে হাজিরা দেননি। সে কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এছাড়া এ মামলার আরেক আসামি মীর শহিদুল্লাহও এতোদিন পলাতক ছিলেন।

সোমবার মীর শহিদুল্লাহ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুহুল আমিন হাওলাদারের গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রাখেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

জাপা মহাসচিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

আপডেট টাইম : ১০:২৯:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০১৬

দুর্নীতি মামলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে যশোরের একটি আদালত।একই সঙ্গে এই মামলার আরেক আসামি মীর শহিদুল্লাহ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। সোমবার যশোরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এই নির্দেশ দেন।

আসামি মীর শহিদুল্লাহ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ কেরুয়া গ্রামের হাজী মীর আবদুর রশিদের ছেলে এবং যশোরের নওয়াপাড়ার বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সাবেক প্রধান সময়রক্ষক ও এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলে চাকরির সময় ১৯৮৮ সালের ৬ মে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সময়রক্ষক ও এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর শহিদুল্লাহ চাকরিচ্যুত হন। ১৯৮৯ সালের ১৭ আগস্ট বেতন বিহীন শর্ত সাপেক্ষে বস্ত্র ও শিল্প কর্পোরেশন মন্ত্রণালয়ের আদেশে আবার তার চাকরি বহাল রাখা হয়। সে মোতাবেক পাঁচ দিন পর ২৩ আগস্ট তিনি চাকরিতে যোগদান করেন।

এরপর তিনি সে সময়ের বস্ত্র ও শিল্পমন্ত্রী বর্তমান জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক নুরুল হক এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগসাজসে ১৯৯০ সালের ৩০ আগস্ট এক লাখ ৬১১ টাকা বেতন উত্তোলন করেন।

এই অনিয়মের ঘটনায় যশোর জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক সুখরঞ্জন জমাদ্দার বাদী হয়ে ১৯৯২ সালের ২৮ জুলাই অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মীর শহিদুল্লাহ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নূরুল হক এবং হুমায়ুন কবিরসহ চারজনকে আসামি করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন সহকারী পরিচালক আবুল বাসার এ মামলায় মীর শহিদুল্লাহ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। আর এ মামলা থেকে অব্যাহতি পান নুরুল হক হুমায়ুন কবির।

এরপর ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি রুহুল আমিন হাওলাদার যশোর আদালত থেকে জামিন নেন। কিন্তু এরপর আর তিনি আদালতে হাজিরা দেননি। সে কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এছাড়া এ মামলার আরেক আসামি মীর শহিদুল্লাহও এতোদিন পলাতক ছিলেন।

সোমবার মীর শহিদুল্লাহ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুহুল আমিন হাওলাদারের গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রাখেন।