ঢাকা ০২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে মারা যান কোকো, জানালেন বিএনপি নেতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৬
  • ৩১৩ বার

যে কারণে মারা যায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকো তা জানালেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ওয়ান ইলেভেনে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ‘দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন’-এ আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে কোকোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এ মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।

গত বছরের শুরুতে বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২৪ জানুয়ারি মালেয়শিয়ায় মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

ওয়ান ইলেভেনে জরুরি অবস্থার সময় গ্রেফতার হন আরাফাত রহমান কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়।

পরে সেখান থেকে মালেয়শিয়া যান তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্ত্রী সৈয়দ শর্মিলা রহমান সিঁথি, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে সেখানেই ছিলেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আন্দোলনে বিজয়ী হওয়া ছাড়া কোনো পথ নেই। ছাত্রদলকে আন্দোলন এগিয়ে নিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন করতে পারলে আরাফাত রহমান কোকো হত্যার বিচার করতে পারব।

খালেদা জিয়াকে দুর্বল করতেই এক এগারোর সময় তার দুই ছেলে তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়ার সমর্থন না পেয়ে তারেক রহমানকে প্রাণে মারতে চেয়েছিল। তাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। কোকোকে অসুস্থ অবস্থায় গ্রেফতার করে মানসিক চাপে রেখে মৃত্যুবরণ করতে বাধ্য করেছে।

কোকো মারা যাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে সান্ত¦না দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুলশানে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অফিসের ভেতরে যাননি। উনার ভেতরে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে এসএসএফ অফিসের ভেতরে গিয়ে নিরাপত্তার কাজ করতেন। কোকোর মৃত্যুর কয়েকদিনের মধ্যে খালেদা জিয়াকে বাস পোড়ানোর মামলায় আসামি করা।

ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এজমাল হোসেন পাইলটের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যে কারণে মারা যান কোকো, জানালেন বিএনপি নেতা

আপডেট টাইম : ১০:৪১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৬

যে কারণে মারা যায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকো তা জানালেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ওয়ান ইলেভেনে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ‘দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন’-এ আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে কোকোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এ মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।

গত বছরের শুরুতে বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২৪ জানুয়ারি মালেয়শিয়ায় মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

ওয়ান ইলেভেনে জরুরি অবস্থার সময় গ্রেফতার হন আরাফাত রহমান কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়।

পরে সেখান থেকে মালেয়শিয়া যান তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্ত্রী সৈয়দ শর্মিলা রহমান সিঁথি, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে সেখানেই ছিলেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আন্দোলনে বিজয়ী হওয়া ছাড়া কোনো পথ নেই। ছাত্রদলকে আন্দোলন এগিয়ে নিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন করতে পারলে আরাফাত রহমান কোকো হত্যার বিচার করতে পারব।

খালেদা জিয়াকে দুর্বল করতেই এক এগারোর সময় তার দুই ছেলে তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়ার সমর্থন না পেয়ে তারেক রহমানকে প্রাণে মারতে চেয়েছিল। তাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। কোকোকে অসুস্থ অবস্থায় গ্রেফতার করে মানসিক চাপে রেখে মৃত্যুবরণ করতে বাধ্য করেছে।

কোকো মারা যাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে সান্ত¦না দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুলশানে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অফিসের ভেতরে যাননি। উনার ভেতরে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে এসএসএফ অফিসের ভেতরে গিয়ে নিরাপত্তার কাজ করতেন। কোকোর মৃত্যুর কয়েকদিনের মধ্যে খালেদা জিয়াকে বাস পোড়ানোর মামলায় আসামি করা।

ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এজমাল হোসেন পাইলটের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার প্রমুখ।