ইডেন মহিলা কলেজের স্নাতকের ছাত্রী খাদিজাতুন কোবরা ময়না। সত্যিই ময়নার মত আর ক’জনই বা আছেন। পুরুষরা যা করেননি তাই করে দেখালেন ময়না। এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর দিলকুশা থেকে গুলিস্তান হয়ে হাতিরপুলের বাসায় ফিরছিলেন ময়না। গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের কাছে ট্রাফিক জ্যামে পড়ে তাকে বহনকারী রিকশাটি। পাশে তাকাতেই তিনি দেখতে পান, দেয়ালের পাশে এক বয়স্ক লোক অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন।
ওই ব্যক্তির পাশ দিয়েই শত শত পথচারী চলে যাচ্ছিল। কিন্তু কেউ তার দিকে ফিরেও তাকাননি। এ অবস্থা দেখে আর থাকতে পারলেন না ময়না। রিকশা থেকে নেমে সোজা পড়ে থাকা লোকটির কাছে যান। তার নাড়ি পরীক্ষা করে এবং নাকের কাছে হাত নিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, লোকটি তখনো বেঁচে আছেন।
এসময় তিনি লোকটিকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য পথচারীদের সাহায্য চান। তাতে তেমন সাড়া পাননি তিনি। পরে মামুন নামের এক যুবকের সহায়তায় দায়িত্ব পালনরত এক পুলিশ সদস্যের কাছে সাহায্য চেয়েও বিফল হন ময়না।
এর একপর্যায়ে ময়না এগিয়ে যান পুলিশ সদস্যটির কাছে। পরে পুলিশের একটি গাড়িতে করে অচেতন লোকটিকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা তার পরীক্ষা করে জানান, ওই ব্যক্তিকে অজ্ঞান করা হয়েছে।
এ অবস্থায় খোঁজ নিয়ে ময়না জানতে পারেন, অজ্ঞান ব্যক্তিটির নাম ইসহাক মিয়া (৫৭)। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। তিনি বাড্ডা যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়েন তিনি।
পরে ময়না ইসহাক মিয়ার মেয়ে সাদিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বাবার অবস্থা জানান। সাদিয়া তাকে জানান, তার বাবা গত দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। বর্তমানে ইসহাক মিয়ার অবস্থা সঙ্কটমুক্ত বলে জানা গেছে।