রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশ ও দেশের মানুষের সেবা দিতে জ্ঞান-বিজ্ঞানে আলোকিত হতে শিশুদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমরা দেশের আগামী দিনের নেতা। জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য তোমাদেরকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। দেশের কল্যাণে তোমাদেরকে সুনাগরিকের সকল গুণাবলী অর্জন করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি আজ বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘গেদারিং অব চিলড্রেন উইথ অনারেবল প্রেসিডেন্ট’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রায় আড়াইশ’ শিশু রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের এই দুর্লভ সুযোগ লাভ করে এবং তাঁর সঙ্গে পুরোদিন অতিবাহিত করে।
এই শিশুরা বঙ্গভবনের লনে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশ নেয়। তারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা একটি পরাধীন দেশের নাগরিক ছিলাম এবং আমরা এমনকি বঙ্গভবনের মতো রাজপ্রাসাদে ঢুকার কল্পনাও করতে পারতাম না। কিন্তু তোমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক এবং এখন এখানে তোমাদের বিপুল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।’
তিনি বলেন, গোটা পৃথিবী তোমাদের হাতের মুঠোয়। এজন্য তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নকে ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি চাই তোমরা প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আজ তোমাদের সঙ্গে কথা বলার সময় শৈশবের স্মৃতিতে আক্রান্ত হয়েছি। তোমরা জান আমি কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় বেড়ে ওঠেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি হাওরের ঢেউয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে সংগ্রামের মাধ্যমে বড় হয়েছি। আমি এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে গিয়েছি নৌকায় চড়ে এবং হাওরের মানুষের সংগ্রামী জীবন দেখেছি।
তিনি আরো বলেন, ‘দায়িত্ব-কর্তব্যের কারণে আমি এখন বঙ্গভবনে বসবাস করলেও আমি সর্বদা গভীরভাবে আমার জন্মস্থানকে অনুভব করি। এ কারণে সুযোগ পেলেই আমি আমার পৈত্রিক বাড়িতে ছুটে যাই।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তোমরাও সময় পেলে অবশ্যই তোমাদের গ্রামে যাবে এবং দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য স্বচক্ষে দেখবে।’
এর আগে আবদুল হামিদ শিশুদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন। অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম এবং শিশু একাডেমীর চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন বক্তৃতা করেন।
বাসস