ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমরা সত্যের পক্ষে, ওরা অসত্যের পক্ষে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৬
  • ২২৩ বার

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে অর্থমন্ত্রী প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং অন্যান্য অসঙ্গতি দূরীকরণের দাবিতে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা লাগাতার কর্মবিরতিতে গেলে এর দায় সরকারের ওপর বর্তাবে বলে মন্তব্য করেছেন অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষকরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ঘোষিত দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি এবং অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে এ মন্তব্য করেন তারা। এসময় কতিপয় আমলা ভুয়া পরিপত্র দিয়ে শিক্ষকদের অসম্মান করেছে অভিযোগ করে তা তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন শিক্ষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, অনেক সময় দিয়েছি সরকারকে। শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের ক্ষতি হোক তা আমরা চাইনি। কিন্তু এখন আর কোনো উপায় নেই। তিনি বলেন, সরকার যদি শিক্ষকদের দাবি মেনে না নেয় তাহলে ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। এর দায় সরকারের ওপর বর্তাবে। অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, মন্ত্রণালয়ের এক শ্রেণীর আমলা ভুয়া পরিপত্র দিয়েছেন। এ অপরাধ যারা করেছে তাদের আমরা চিনি। আমরা সত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা সত্যের পক্ষে, ওই আমলারা অসত্যের পক্ষে। এসময় তিনি তদন্তের মাধ্যমে শিক্ষকদের অসম্মানের সাথে জড়িত আমলাদের বিচার দাবি করেন। অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, এখন অর্থমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে নানান ধরনের কথা বলছেন। তার মত একজন সিনিয়র মন্ত্রীর ওপর যদি শিক্ষকরা আস্থা রাখতে না পারে, তাহলে কার ওপরে রাখবে? অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিক উজ জামান, অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ, অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত শনিবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি ঘোষণা করে। দাবি আদায় না হলে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সপ্তম জাতীয় বেতন স্কেলের সম্পূর্ণ অনুরূপ সিলেকশন গ্রেড ও টাইম-স্কেল বহালসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে; অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে সিনিয়র সচিবের যে স্থান রাখা হয়েছে, সেই স্থানে গ্রেড-১ প্রাপ্ত অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একটি অংশকে শতকরা হারে উন্নীত করার বিধান রাখতে হবে; সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরূপ গাড়ি ও অন্যান্য সুবিধা শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা সত্যের পক্ষে, ওরা অসত্যের পক্ষে

আপডেট টাইম : ১০:০৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৬

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে অর্থমন্ত্রী প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং অন্যান্য অসঙ্গতি দূরীকরণের দাবিতে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা লাগাতার কর্মবিরতিতে গেলে এর দায় সরকারের ওপর বর্তাবে বলে মন্তব্য করেছেন অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষকরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ঘোষিত দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি এবং অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে এ মন্তব্য করেন তারা। এসময় কতিপয় আমলা ভুয়া পরিপত্র দিয়ে শিক্ষকদের অসম্মান করেছে অভিযোগ করে তা তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন শিক্ষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, অনেক সময় দিয়েছি সরকারকে। শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের ক্ষতি হোক তা আমরা চাইনি। কিন্তু এখন আর কোনো উপায় নেই। তিনি বলেন, সরকার যদি শিক্ষকদের দাবি মেনে না নেয় তাহলে ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। এর দায় সরকারের ওপর বর্তাবে। অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, মন্ত্রণালয়ের এক শ্রেণীর আমলা ভুয়া পরিপত্র দিয়েছেন। এ অপরাধ যারা করেছে তাদের আমরা চিনি। আমরা সত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা সত্যের পক্ষে, ওই আমলারা অসত্যের পক্ষে। এসময় তিনি তদন্তের মাধ্যমে শিক্ষকদের অসম্মানের সাথে জড়িত আমলাদের বিচার দাবি করেন। অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, এখন অর্থমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে নানান ধরনের কথা বলছেন। তার মত একজন সিনিয়র মন্ত্রীর ওপর যদি শিক্ষকরা আস্থা রাখতে না পারে, তাহলে কার ওপরে রাখবে? অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিক উজ জামান, অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ, অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত শনিবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি ঘোষণা করে। দাবি আদায় না হলে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সপ্তম জাতীয় বেতন স্কেলের সম্পূর্ণ অনুরূপ সিলেকশন গ্রেড ও টাইম-স্কেল বহালসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে; অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে সিনিয়র সচিবের যে স্থান রাখা হয়েছে, সেই স্থানে গ্রেড-১ প্রাপ্ত অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একটি অংশকে শতকরা হারে উন্নীত করার বিধান রাখতে হবে; সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরূপ গাড়ি ও অন্যান্য সুবিধা শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করতে হবে।