স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বিপ্লব সাধন করেছে।
তিনি বলেন, ধান-গমের পাশাপাশি সকল প্রকার সবজি ও আলু উৎপাদনেও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তাই বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য রপ্তানীকারক দেশে পরিণত হয়েছে।
তিনি সংসদ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সাহায্যপুষ্ট ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি’ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদলের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাজ্যের আলস্টার ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এস. আর. ওসমানি।
স্পিকার বলেন, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেচকাজে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্বল্পমূল্যে কৃষকদের জন্য সার, বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করায় এ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এর ফলে গত ৭ বছর ধরে চালসহ বিভিন্ন নিত্য পণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, বর্তমান সরকার সকল স্তরের মানুষের জন্য খাদ্য যোগান নিশ্চিত করেছে। ভিজিএফ/ভিজিডির মাধ্যমে হতদরিদ্র মানুষের খাদ্যদ্রব্যের চাহিদা মেটানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, সমাজের হতদরিদ্র জনগণকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভূক্ত করে সরকার সমাজের অসহায় মানুষের সহায়তা প্রদান করে চলেছে।
স্পিকার আরো বলেন, বাংলাদেশসহ সমগ্রবিশ্বে কৃষিক্ষেত্রে নারীদের অবদান সবচেয়ে বেশি হলেও তাদের যথাযথ স্বীকৃতি নেই। তিনি এ বিষয়ে আরো কাজ করার জন্য প্রতিনিধিদের আহবান জানান।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধিগণ বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতির পথে অগ্রসর হচ্ছে। তারা খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি সঠিক মাত্রার পুষ্টি চাহিদা মেটানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। খাদ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে তারা জেন্ডার সমতা বিধানের উপরও গুরুত্ব প্রদান করেন।
স্পিকার বলেন, পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণে বর্তমান সরকার গর্ভজাত মায়ের পুষ্টিনিশ্চিতকরণ, বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর খাদ্য কর্মসূচি চালুকরণ, কর্মজীবী মায়েদের পুষ্টিচাহিদা পূরণ, ডে-কেয়ার সেন্টার ইত্যাদি কর্মসূচি নিয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এ সকল কর্মসুচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার প্রণীত সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পণা, ভিশন-২০২১ সহ সকল স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পণায় খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এসময় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. করিস্টা র্যাডার উপস্থিত ছিলেন।