ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে নামাজ আদায় করলে ১২ বছরের সওয়াব পাওয়া যায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ৫৮৮ বার

মহান আল্লাহ তায়ালা নির্দেশে মুসলামানেরা নিয়মিত সালাত আদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন জিকির আজগার করে থাকেন। তবে এর মধ্যেও বিশেষ কিছু আমল রয়েছে যেগুলো গুনাহ মাফের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গুনাহ মাফের তেমনই এক নামাজের নাম আওয়াবীনের নামায। এই নামায আদায় করলে ১২ বছরের গুনাহ হতে মুক্তি পাওয়া যায়। মাগরিবের ফরয এবং সুন্নাতের পর কমপক্ষে ছয় রাকআত এবং সর্বাপেক্ষা বিশ রাকআত নফল নামাযকে আওয়াবীনের নামায বলা হয়। হাদিসে এই ছয় রাকাআত আওয়াবীনের ফযিলতের ১২ বছরের ইবাদত করার সওয়াব অর্জিত হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। অপর এক হাদিসে বিশ রাকআত আদায় করলে জান্নাতে আল্লাহ তার জন্য একটা ঘর তৈরি করবেন বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি হাদিস: হযরত হুযাইফা (রা) বলেন “আমি নবীজি (সা)-র কাছে এসে তার সাথে মাগরীবের সালাত আদায় করলাম। তিনি মাগরীবের পরে ইশার সালাত পর্যন্ত নফল সালাতে রত থাকলেন।” সহীহ হাদিস। (ইবনু আবী শাইবা, মুসান্নাফ, নসাঈ, সুনানুল কুবরা)। অন্য হাদীসে আনাস (রা) বলেন, সাহাবায়ে কেরাম মাগরীব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ে সজাগ থেকে অপেক্ষা করতেন এবং নফল সালাত আদায় করতেন।” হযরত হাসান বসরী বলতেন, ইশার মধ্যবর্তী সময়ের নামাযও রাতের নামায বা তাহাজ্জুদের নামায বলে গণ্য হবে। (বাইহাকী, আস সুনানুল কুবরা)

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যে নামাজ আদায় করলে ১২ বছরের সওয়াব পাওয়া যায়

আপডেট টাইম : ১০:৫৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫

মহান আল্লাহ তায়ালা নির্দেশে মুসলামানেরা নিয়মিত সালাত আদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন জিকির আজগার করে থাকেন। তবে এর মধ্যেও বিশেষ কিছু আমল রয়েছে যেগুলো গুনাহ মাফের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গুনাহ মাফের তেমনই এক নামাজের নাম আওয়াবীনের নামায। এই নামায আদায় করলে ১২ বছরের গুনাহ হতে মুক্তি পাওয়া যায়। মাগরিবের ফরয এবং সুন্নাতের পর কমপক্ষে ছয় রাকআত এবং সর্বাপেক্ষা বিশ রাকআত নফল নামাযকে আওয়াবীনের নামায বলা হয়। হাদিসে এই ছয় রাকাআত আওয়াবীনের ফযিলতের ১২ বছরের ইবাদত করার সওয়াব অর্জিত হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। অপর এক হাদিসে বিশ রাকআত আদায় করলে জান্নাতে আল্লাহ তার জন্য একটা ঘর তৈরি করবেন বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি হাদিস: হযরত হুযাইফা (রা) বলেন “আমি নবীজি (সা)-র কাছে এসে তার সাথে মাগরীবের সালাত আদায় করলাম। তিনি মাগরীবের পরে ইশার সালাত পর্যন্ত নফল সালাতে রত থাকলেন।” সহীহ হাদিস। (ইবনু আবী শাইবা, মুসান্নাফ, নসাঈ, সুনানুল কুবরা)। অন্য হাদীসে আনাস (রা) বলেন, সাহাবায়ে কেরাম মাগরীব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ে সজাগ থেকে অপেক্ষা করতেন এবং নফল সালাত আদায় করতেন।” হযরত হাসান বসরী বলতেন, ইশার মধ্যবর্তী সময়ের নামাযও রাতের নামায বা তাহাজ্জুদের নামায বলে গণ্য হবে। (বাইহাকী, আস সুনানুল কুবরা)