ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

সরকারি খাস জমিতে নারী কৃষকদের অধিকার নিশ্চিতের দাবি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৩:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ২৪৮ বার

সরকারি খাস জমিতে নারী কৃষকদের অধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকজ ও নারী কৃষক ফোরাম।

সংগঠনের নেতারা বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে নারী কৃষকদের সম্পত্তিতে অধিকার দিতে হবে। একই সাথে তাদের রাষ্ট্রীয় ভর্তূকির আওতায় আনা, পারিবারিক কৃষি কার্ডপ্রবর্তন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন লোকজের নির্বাহী পরিচালক দেব প্রসাদ সরকার ও নারী কৃষক ফোরামের সভাপতি আশালতা হালদার।

লিখিত বক্তব্যে বক্তরা বলেন, খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা (১৯৯৮)’তে অগ্রাধিকারের তালিকায় ‘সক্ষম পুত্রসহ বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তা পরিবার’ খাস জমি পাওয়ার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ নাবালক পুত্র বা কন্যা সন্তানের মা হিসেবে কোন নারী ওই তালিকায় স্থান পাবেন না। অথচ নারী উন্নয়ন নীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে দেশের অতি দরিদ্রদের দুই তৃতীয়াংশ নারীর অধিকাংশই বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা অথবা তালাকপ্রাপ্ত।

রাষ্ট্রীয় সম্পদ বণ্টনে এরকম বৈষম্যমূলক নীতি কার্যতঃ অতি দরিদ্র অধিকাংশ নারীর খাস জমি পাওয়ার অধিকারকে ব্যাহত করবে। সক্ষম পুরুষ সন্তান থাকা না থাকার শর্তটি নিঃসন্দেহে পশ্চাৎপদ পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় বহন করে। এই ধরনের মানসিকতা পরিহার করতে না পারলে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে নারী কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য বাজারের নিদিষ্ট স্থান বরাদ্দেরও দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নারী কৃষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নাজনীন আক্তার নীপা ও লোকজের সমন্বয়কারী পলাশ দাশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

সরকারি খাস জমিতে নারী কৃষকদের অধিকার নিশ্চিতের দাবি

আপডেট টাইম : ১২:২৩:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫

সরকারি খাস জমিতে নারী কৃষকদের অধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকজ ও নারী কৃষক ফোরাম।

সংগঠনের নেতারা বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে নারী কৃষকদের সম্পত্তিতে অধিকার দিতে হবে। একই সাথে তাদের রাষ্ট্রীয় ভর্তূকির আওতায় আনা, পারিবারিক কৃষি কার্ডপ্রবর্তন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন লোকজের নির্বাহী পরিচালক দেব প্রসাদ সরকার ও নারী কৃষক ফোরামের সভাপতি আশালতা হালদার।

লিখিত বক্তব্যে বক্তরা বলেন, খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা (১৯৯৮)’তে অগ্রাধিকারের তালিকায় ‘সক্ষম পুত্রসহ বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তা পরিবার’ খাস জমি পাওয়ার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ নাবালক পুত্র বা কন্যা সন্তানের মা হিসেবে কোন নারী ওই তালিকায় স্থান পাবেন না। অথচ নারী উন্নয়ন নীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে দেশের অতি দরিদ্রদের দুই তৃতীয়াংশ নারীর অধিকাংশই বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা অথবা তালাকপ্রাপ্ত।

রাষ্ট্রীয় সম্পদ বণ্টনে এরকম বৈষম্যমূলক নীতি কার্যতঃ অতি দরিদ্র অধিকাংশ নারীর খাস জমি পাওয়ার অধিকারকে ব্যাহত করবে। সক্ষম পুরুষ সন্তান থাকা না থাকার শর্তটি নিঃসন্দেহে পশ্চাৎপদ পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় বহন করে। এই ধরনের মানসিকতা পরিহার করতে না পারলে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে নারী কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য বাজারের নিদিষ্ট স্থান বরাদ্দেরও দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নারী কৃষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নাজনীন আক্তার নীপা ও লোকজের সমন্বয়কারী পলাশ দাশ।