হেফাজতে ইসলাম ধর্ম অবমাননবার ঘটনায় কোনো ব্লগারের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়নি বলে জানিয়েছেন সংগঠনের আমির ও দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী।
সম্প্রতি ব্লগার হত্যাকাণ্ডে হেফাজতে ইসলামকে জড়ানোর ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতি তিনি একথা জানান।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, হেফাজতের তালিকাভুক্ত ব্লগাররাই জঙ্গিদের হিটলিস্টে, এমন মন্তব্য করে কতিপয় মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামকে জড়ানোর অপপ্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
শাহ আহমদ শফী বলেন, ধর্ম অবমাননা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে সমান কঠোরতা জরুরি। কারো ধর্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যঙ্গ করা কোনো অবস্থাতেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়। হেফাজতে ইসলাম সকল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে যে ৮৪ জন ব্লগারের তালিকা দেওয়া হয়, তা মাসিক আল-বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল-ইহসান পত্রিকার সম্পাদক এবং আনজুমানে আল-বাইয়্যিনাতের কেন্দ্রীয় আহবায়ক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম আরিফের নেতৃত্বে দেওয়া হয়েছিল। তিনি হেফাজতে ইসলামের কেউ নন এবং উক্ত বৈঠকে হেফাজতের কোনো নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেননি।
হেফাজত আমির বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৮৪ জন ব্লগারের তালিকা হেফাজত দিয়েছিল বলে যে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইসলামবিদ্বেষী নাস্তক্যবাদী ও তাদের দোসররাই এমন মিথ্যাচারে জড়িত।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে ১৩ দফা দাবি দিয়েছিলাম। এর অন্যতম দাবি ছিল- ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন পাশ এবং সে আইনের আওতায় বিচারের মাধ্যমে তাদের শাস্তি দেওয়া। এই দাবির যুক্তি ছিল যাতে কেউ কোনো সম্প্রদায় বা ব্যক্তি বিশেষের অনুভূতিতে আঘাত হেনে দেশ ও সমাজে শান্তি বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস চালাতে না পারে।
শাহ শফী বলেন, বর্তমানে কতিপয় মহল থেকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতারও একটা সীমা আছে। অন্যের ধর্মবিশ্বাসকে কেউ হেয় করতে পারে না। অন্যের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে মশকরা করা যায় না। কারো ধর্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যঙ্গ করা কোনো অবস্থাতেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়।
তিনি বলেন, কেউ যদি কারো মাকে গালি দেয়, কারো বোনকে গালি দেয়, অবশ্যই এতে কঠোর প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে। তাই আমরা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে বার বার দাবি জানিয়ে আসছি, কেউ যাতে অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে সহিংস কর্মকাণ্ডে কাউকে প্ররোচিত না করতে পারে, তার জন্য কঠোর আইন থাকা দরকার।
হেফাজত আমির বলেন, আমরা কখনোই আইনকে নিজের হাতে তুলে নেওয়া বা কোনো ধরনের বিচারবহির্ভূত সহিংস কর্মকাণ্ড সমর্থন করি না। হেফাজতে ইসলাম খুন, গুম, অপহরণসহ সকল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে। আমরা সব সময় জনসাধারণকে অন্যায়, অপরাধ, জোর-জুলুম ও সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার প্রতি আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, আমরা চাই- ব্লগার হত্যাসহ সব ধরনের বিচারবহির্ভূত সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি কেউ যাতে বাকস্বাধীনতার অপব্যবহার করে ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে সহিংস কর্মকাণ্ডে অন্যকে প্ররোচিত করতে না পারে, সেজন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন পাশ করা হোক।
হেফাজত আমির ইসলাম অবমাননাকারী ব্লগারদের কতিপয় মিডিয়ায় বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা বলে পরিচিত করার প্রয়াসের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, এটাও ধর্ম অবমাননাকারীদের প্ররোচিত করার শামিল। দেশের শান্তিশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকারকে এসব বিষয়ে সতর্ক ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে।
সম্প্রতি ব্লগার হত্যাকাণ্ডে হেফাজতে ইসলামকে জড়ানোর ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতি তিনি একথা জানান।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, হেফাজতের তালিকাভুক্ত ব্লগাররাই জঙ্গিদের হিটলিস্টে, এমন মন্তব্য করে কতিপয় মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামকে জড়ানোর অপপ্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
শাহ আহমদ শফী বলেন, ধর্ম অবমাননা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে সমান কঠোরতা জরুরি। কারো ধর্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যঙ্গ করা কোনো অবস্থাতেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়। হেফাজতে ইসলাম সকল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে যে ৮৪ জন ব্লগারের তালিকা দেওয়া হয়, তা মাসিক আল-বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল-ইহসান পত্রিকার সম্পাদক এবং আনজুমানে আল-বাইয়্যিনাতের কেন্দ্রীয় আহবায়ক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম আরিফের নেতৃত্বে দেওয়া হয়েছিল। তিনি হেফাজতে ইসলামের কেউ নন এবং উক্ত বৈঠকে হেফাজতের কোনো নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেননি।
হেফাজত আমির বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৮৪ জন ব্লগারের তালিকা হেফাজত দিয়েছিল বলে যে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইসলামবিদ্বেষী নাস্তক্যবাদী ও তাদের দোসররাই এমন মিথ্যাচারে জড়িত।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে ১৩ দফা দাবি দিয়েছিলাম। এর অন্যতম দাবি ছিল- ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন পাশ এবং সে আইনের আওতায় বিচারের মাধ্যমে তাদের শাস্তি দেওয়া। এই দাবির যুক্তি ছিল যাতে কেউ কোনো সম্প্রদায় বা ব্যক্তি বিশেষের অনুভূতিতে আঘাত হেনে দেশ ও সমাজে শান্তি বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস চালাতে না পারে।
শাহ শফী বলেন, বর্তমানে কতিপয় মহল থেকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতারও একটা সীমা আছে। অন্যের ধর্মবিশ্বাসকে কেউ হেয় করতে পারে না। অন্যের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে মশকরা করা যায় না। কারো ধর্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যঙ্গ করা কোনো অবস্থাতেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়।
তিনি বলেন, কেউ যদি কারো মাকে গালি দেয়, কারো বোনকে গালি দেয়, অবশ্যই এতে কঠোর প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে। তাই আমরা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে বার বার দাবি জানিয়ে আসছি, কেউ যাতে অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে সহিংস কর্মকাণ্ডে কাউকে প্ররোচিত না করতে পারে, তার জন্য কঠোর আইন থাকা দরকার।
হেফাজত আমির বলেন, আমরা কখনোই আইনকে নিজের হাতে তুলে নেওয়া বা কোনো ধরনের বিচারবহির্ভূত সহিংস কর্মকাণ্ড সমর্থন করি না। হেফাজতে ইসলাম খুন, গুম, অপহরণসহ সকল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে। আমরা সব সময় জনসাধারণকে অন্যায়, অপরাধ, জোর-জুলুম ও সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার প্রতি আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, আমরা চাই- ব্লগার হত্যাসহ সব ধরনের বিচারবহির্ভূত সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি কেউ যাতে বাকস্বাধীনতার অপব্যবহার করে ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে সহিংস কর্মকাণ্ডে অন্যকে প্ররোচিত করতে না পারে, সেজন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন পাশ করা হোক।
হেফাজত আমির ইসলাম অবমাননাকারী ব্লগারদের কতিপয় মিডিয়ায় বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা বলে পরিচিত করার প্রয়াসের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, এটাও ধর্ম অবমাননাকারীদের প্ররোচিত করার শামিল। দেশের শান্তিশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকারকে এসব বিষয়ে সতর্ক ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে।