গত বিশ বছরে আমি এত অবসর পাইনি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের প্রভাবে শুটিং বন্ধ হয়েছে এরই মধ্যে। জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসানও তাই বিশ্রামে আছেন।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজধানীর ধানমণ্ডির বাসায় অবস্থান করছেন এ অভিনেতা। বর্তমান ব্যস্ততা ও প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয় নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি

* যুগান্তরঃ শুটিং তো বন্ধ। কীভাবে এখন সময় কাটছে আপনার?

** জাহিদঃ পুরোপুরি নিজেকে গৃহবন্দি করে ফেলেছি। ১৯ মার্চ থেকেই এ নতুন জীবন শুরু হয়েছে। বই পড়ছি, টিভি দেখছি আর সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে মজার সব খেলা খেলছি। ওরাও খুব উপভোগ করছে এ সময়টা। কারণ এভাবে কখনই ওরা আমার সান্নিধ্য পায়নি। আমিও ওদের সময় দিতে পেরে আনন্দিত। আর মাঝে মধ্যে রান্না করছি। গত বিশ বছরে আমি এত অবসর পাইনি।

* যুগান্তরঃ হঠাৎ জীবনযাপনের এ ছন্দ পরিবর্তনের বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?

** জাহিদঃ আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না এ বিড়ম্বনার জন্য। এত দ্রুত যে এ ভাইরাস বাংলাদেশে চলে আসবে, তা-ও বুঝতে পারিনি। এমনিতেই ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল আমাদের দেশ। বিশেষ করে ঢাকা শহরেই তো ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত মানুষ বসবাস করে। গণপরিবহনগুলোতে থাকে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সব মিলিয়ে আমি বেশ শঙ্কিত। কারণ বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ যদি কর্মহীন হয়ে পড়ে তাহলে তা খুবই অমানবিক হবে। সর্বোপরি আমি বলব সবাই যেন একটু সচেতন হন এবং অন্যকেও সচেতন করেন।

* যুগান্তরঃ লকডাউনের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। এটি নিয়ে আপনার অভিমত কী?

** জাহিদঃযেহেতু করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে। তাই সংক্রমণ রোধের জন্য লকডাউন দেয়া যেতে পারে কিংবা সমস্যা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার। এছাড়া সারা দেশের সামর্থ্যবান মানুষ এ ভাইরাস মোকাবেলায় মানুষের পাশে থাকার জন্য একটা তহবিল গঠন করতে পারেন। তাতে খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সহজ হবে।

* যুগান্তরঃ আপনি তো ঈদের নাটকের শুটিং শুরু করেছিলেন। প্রতিশ্রুতবদ্ধ কাজগুলো কি বাতিল করা হয়েছে?

** জাহিদঃ হ্যাঁ। একটি ৭ পর্বের ঈদ ধারাবাহিকের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি একখণ্ডের নাটকের শুটিং শেষ করেছি। যেগুলোর শুটিং সিডিউল দেয়া ছিল, সেগুলোর নির্মাতারাই কাজ বাতিল করে আমাকে জানিয়েছেন। কারণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তো আর কাজ করা যায় না। একটি নাটকের শুটিং সেটে অনেক মানুষের উপস্থিতি থাকে। সেই জনসমাগম থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই আমিও নিজে থেকে কয়েকটি কাজ বাতিল করেছি।

* যুগান্তরঃ পহেলা বৈশাখের নাটকেরও কি প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?

** জাহিদঃবেশ কয়েকটি পহেলা বৈশাখের নাটকের শুটিং করার কথা ছিল। তবে এখন যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে করে পহেলা বৈশাখের আয়োজনও সম্ভবত বাতিল হবে। যেহেতু শুটিং করার সুযোগ নেই, তাই সেভাবে নতুন কোনো কাজও হয়তো দর্শক দেখে না। আগে নির্মাণ করা নাটকই হয়তো প্রচার হবে। যে কয়েকটি নাটক নিশ্চিত হয়েছে তা খুবই কম। যে সময়টায় নাটক নির্মাণ হতো সেই সময়টাতেই বন্ধ হয়ে গেল কাজ।

* যুগান্তরঃ আপনার পরিচালিত একটি ধারাবাহিক নাটক প্রচারে আসার কথা ছিল। সেটির অগ্রগতি কী?

** জাহিদঃ বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে হয়তো নাটকটি প্রচারে আসছে না। পরিস্থিতির উন্নতি হলেই নাটকটি প্রচার সময় নির্ধারণ হবে বলে জানিয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর