সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন, ২০১৫’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে সোমবার আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এখন সেটি জাতীয় সংসদে পাস হলে কার্যকর হবে।
বৈঠক শেষে এ আইনে শাস্তির বিধান সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, ‘‘আইনটির ৩৮ ধারায় উল্লেখ রয়েছে- ‘কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা জাতীয় কমিটির পূর্বানুমোদন ব্যতীত বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন কোনো জীববৈচিত্র্য বা জীব সম্পদ বা তৎবিষয়ে জ্ঞান সংগ্রহ করেন বা অধিকারে নেন বা উহাদের বাণিজ্যিক ব্যবহার-জীব সমীক্ষা বা জীব পরীক্ষণ কার্যক্রম পরিচলনা করেন বা উহাদের আহরণের কার্যক্রমের সহিত যুক্ত হন; তাহলে তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন’।’’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন আগেও মন্ত্রিসভায় এসেছিল (২০১৩ সালে)। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এটা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাসহ জীবন-জীবিকা এবং জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব আছে। এসব গুরুত্বের কথা বিবেচনা করেই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।’
শফিউল আলম আরও বলেন, “সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা রাষ্ট্রের একটা দায়িত্ব’। তাই এক্ষেত্রে আমাদের বাধ্যবাধকতা আছে।”