ঢাকা ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে বিয়ের আগে পরস্পরকে যে প্রশ্নগুলো করা জরুরি

কিবরিয়া হত্যা মামলা : আবারো পেছালো সাক্ষ্যগ্রহণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৫
  • ৬৭৮ বার

হরতালের কারণে সব আসামি ও সাক্ষী আদালতে অনুপস্থিত থাকায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আবারো পিছিয়েছে। আসামি ও সাক্ষী উপস্থিত না হওয়া নিয়ে এ পর্যন্ত ছয় দফা পেছালো এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।

বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জাগো নিউজকে জানান, সাক্ষী ও আসামি হরতালের কারণে না আসায় আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য রেখেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাক্ষ্যগ্রহণের দশম দিনে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসানের আদালতে তিন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণের কথা থাকলেও হরতালের কারণে মামলায় গ্রেফতার ১৪ আসামির কাউকে আদালতে হাজির না করায় সাক্ষগ্রহণ হয়নি। আসেননি সাক্ষীরাও।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানের সাক্ষগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। এ পর্যন্ত মামলায় আট জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। মামলায় মোট ১৭১ জনের সাক্ষ্য নেয়ার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। ওই হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী।

এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।

হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল­াহ মামলাটি বিচারের জন্য গত ১১ জুন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল

কিবরিয়া হত্যা মামলা : আবারো পেছালো সাক্ষ্যগ্রহণ

আপডেট টাইম : ১০:৪১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

হরতালের কারণে সব আসামি ও সাক্ষী আদালতে অনুপস্থিত থাকায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আবারো পিছিয়েছে। আসামি ও সাক্ষী উপস্থিত না হওয়া নিয়ে এ পর্যন্ত ছয় দফা পেছালো এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।

বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জাগো নিউজকে জানান, সাক্ষী ও আসামি হরতালের কারণে না আসায় আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য রেখেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাক্ষ্যগ্রহণের দশম দিনে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসানের আদালতে তিন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণের কথা থাকলেও হরতালের কারণে মামলায় গ্রেফতার ১৪ আসামির কাউকে আদালতে হাজির না করায় সাক্ষগ্রহণ হয়নি। আসেননি সাক্ষীরাও।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানের সাক্ষগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। এ পর্যন্ত মামলায় আট জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। মামলায় মোট ১৭১ জনের সাক্ষ্য নেয়ার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। ওই হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী।

এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।

হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল­াহ মামলাটি বিচারের জন্য গত ১১ জুন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।