ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস ৫ আগস্টের পর ভুয়া মামলা তদন্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার হবে, জানালেন নতুন আইজিপি আলেম সমাজের সাথে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে বিএনপির: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির জুয়ার অ্যাপের প্রচারে নাম লেখালেন বুবলীও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’- তোফায়েল আহমেদ আমরা যা করতে চাই, জনগণকে সাথে নিয়ে করতে চাই : তারেক রহমান বহু নেতার শাসন আমরা দেখেছি, পরিবর্তন দেখিনি : ফয়জুল করীম গ্যাসের জন্য আ.লীগ আমলে ২০ কোটি টাকা ঘুস দিয়েছি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

বিদেশে আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করেছিঃ তথ্যমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৯৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমি নিজে যখন বিদেশে পড়াশোনা করতাম, তখন হোটেল-রেস্তোরাঁয় কাজ করতাম। অর্থাৎ আমি নিজেও টি-বয়ের কাজ করতাম, সেখানে টি-বয় বলে না, ওয়েটার বলে। এটি বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই যে, আমি সেই কাজ করতাম।

একদিন দুদিন নয়, আমি বিদেশে অনেক দিন ছিলাম মাস্টার্স ও ডক্টরেট করার জন্য। সেখানে অনেক দিন কাজ করেছি, মাসের পর মাস। কোনো কাজই অসম্মানের নয়।’- চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে হোটেল বয় হিসেবে কর্মরত চলচ্চিত্র পরিচালক অরণ্য পলাশকে অর্থসহায়তা দেয়ার সময় তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘অরণ্য পলাশের এই পরিস্থিতি দেখে আমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব- সবার সাথে আলোচনা করেছি যে, তাকে আমরা কোনোভাবে সহায়তা করতে পারি কি-না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, আজ তাকে ডেকেছি ব্যক্তিগতভাবে আমার পক্ষ থেকে সহায়তা করার জন্য। কারণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহায়তা করতে হলে একটা প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। আপনারা জানেন, সরকার যে অনুদান দেন, সেটার একটা কমিটি আছে, সেই কমিটির মাধ্যমে অনুদান অনুমোদন হতে হয়।

‘কমিটির সাথে আমি কথা বলবো, তার (অরণ্য পলাশ) এই চলচ্চিত্র (গন্তব্য) যাতে মুক্তি পায়, সেজন্য আরও কী খরচ দরকার, কিছু খরচ তো সে করে ফেলেছে। আর কী সহায়তা দরকার, কমিটির সাথে সেটি আলোচনা করবো।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আবারও বলবো, কোনো কাজই কিন্তু অসম্মানের নয়, সব কাজই সম্মানের এবং সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবং কোনো কাজকে কোনো পেশাকে অসম্মানিত করে কোনো কিছু বলা কারো উচিত নয়। সব মানুষ সম্মানের, সব কাজ সম্মানের।’

অরণ্য পলাশের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুরুতেই বলেছি যে আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করেছি, অর্থাৎ টি-বয়ের কাজ করেছি, সুতরাং আপনার মনে কষ্ট পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’

এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, অরণ্য পলাশের নির্মিত ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক এলিনা শাম্মীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন

বিদেশে আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করেছিঃ তথ্যমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৯:৩৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমি নিজে যখন বিদেশে পড়াশোনা করতাম, তখন হোটেল-রেস্তোরাঁয় কাজ করতাম। অর্থাৎ আমি নিজেও টি-বয়ের কাজ করতাম, সেখানে টি-বয় বলে না, ওয়েটার বলে। এটি বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই যে, আমি সেই কাজ করতাম।

একদিন দুদিন নয়, আমি বিদেশে অনেক দিন ছিলাম মাস্টার্স ও ডক্টরেট করার জন্য। সেখানে অনেক দিন কাজ করেছি, মাসের পর মাস। কোনো কাজই অসম্মানের নয়।’- চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে হোটেল বয় হিসেবে কর্মরত চলচ্চিত্র পরিচালক অরণ্য পলাশকে অর্থসহায়তা দেয়ার সময় তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘অরণ্য পলাশের এই পরিস্থিতি দেখে আমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব- সবার সাথে আলোচনা করেছি যে, তাকে আমরা কোনোভাবে সহায়তা করতে পারি কি-না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, আজ তাকে ডেকেছি ব্যক্তিগতভাবে আমার পক্ষ থেকে সহায়তা করার জন্য। কারণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহায়তা করতে হলে একটা প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। আপনারা জানেন, সরকার যে অনুদান দেন, সেটার একটা কমিটি আছে, সেই কমিটির মাধ্যমে অনুদান অনুমোদন হতে হয়।

‘কমিটির সাথে আমি কথা বলবো, তার (অরণ্য পলাশ) এই চলচ্চিত্র (গন্তব্য) যাতে মুক্তি পায়, সেজন্য আরও কী খরচ দরকার, কিছু খরচ তো সে করে ফেলেছে। আর কী সহায়তা দরকার, কমিটির সাথে সেটি আলোচনা করবো।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আবারও বলবো, কোনো কাজই কিন্তু অসম্মানের নয়, সব কাজই সম্মানের এবং সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবং কোনো কাজকে কোনো পেশাকে অসম্মানিত করে কোনো কিছু বলা কারো উচিত নয়। সব মানুষ সম্মানের, সব কাজ সম্মানের।’

অরণ্য পলাশের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুরুতেই বলেছি যে আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করেছি, অর্থাৎ টি-বয়ের কাজ করেছি, সুতরাং আপনার মনে কষ্ট পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’

এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, অরণ্য পলাশের নির্মিত ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক এলিনা শাম্মীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।