হাওর বার্তা ডেস্কঃ শনির হাওরে বোর ফসল পরিবহনের অভ্যন্তরীণ দু’টি জাঙ্গাল (রাস্তা) একাধিক স্থানে ভাঙ্গা থাকায় কৃষকদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। সড়ক দু’টির মধ্যে একটি বড় জাঙ্গাল নামে পরিচিত অন্যটি নিজাম হাজীর জাঙ্গাল নামে হাওরপাড়ের লোকজনের কাছে পরিচিত। সরেজমিন শনির হাওর বড় জাঙ্গাল পথ ধরে হাওরের ভেতর পাতারিয়া জাঙ্গালে গিয়ে দেখা যায়, দু’টি জাঙ্গালের সংযোগ স্থানে পাশাপাশি দু’টি ভাঙ্গা রয়েছে। ভাঙ্গা দুটি পার হয়ে কিছুটা পশ্চিম দিকে এগুলো আবারো চোখে পড়ে আর একটি স্থানে ভাঙ্গা।
হাওরের অভ্যন্তরীণ সড়ক বা জাঙ্গাল পথের একাধিক স্থানে ভাঙ্গা থাকার কারণে বোর ধানের চারা পরিবহন, এক জমি থেকে অন্য জমিতে পাওয়ার ট্রিলার যাতায়াত ও জমিতে ভ্যান কিংবা ঠেলা গাড়ি করে সেচ পাম্প ও সার পরিবহন করতে গিয়ে কৃষকরা পড়ছেন মারাত্মক সমস্যায়। শনি হাওরে কমপক্ষে ১০ টি অভ্যন্তরীণ সড়ক রয়েছে হাওরের ভেতর। এর মধ্যে মধ্য তাহিরপুর, ভাটি তাহিরপুর গ্রামের সামনে ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে যে দুটি সড়ক রয়েছে সেগুলোতে একাধিক স্থানে ভাঙ্গা রয়েছে।
আর কিছু দিন পরে শুরু হবে ধান কাটা ও মারাই। এ সময়ের মধ্যে যদি হাওরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে স্থানে স্থানে ভাঙ্গা গুলো মেরামত না করা হয় তাহলে হাওর থেকে ধান পরিবহন করে মাড়াই খলা পর্যন্ত নিয়ে আসতে দেখা দিবে নানা রকম ভোগান্তি। চলতি বছর শনির হাওরে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধান রোপন করা হয়েছে। রোপনকৃত জমির অধিকাংশ কৃষক পরিবার যাতায়াত করেন হাওরের এ দু’টি পথ ধরে। শনির হাওর পাড়ের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের কৃষক সুনীল দাস বলেন, হাওরের জাঙ্গাল (রাস্তা) ভাঙ্গা থাকায় জমি রোপনের সময় ধানের চারা নামাতে গিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
ইউপি সদস্য মতিউর রহমান বলেন, গত বছর বৈশাখ মাসে দুটি জাঙ্গাল তিন চার স্থানে ভেঙ্গে যায়। ভাঙ্গা রাস্তাগুলো পারাপার করতে গিয়ে কৃষক নানমুখী সমস্যায় পড়েন। তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে বাজেট নাই। তার পরও আমি ব্যক্তিগত ভাবে জাঙ্গালের ভাঙ্গাগুলো মেরামত করার দ্রুত চেষ্টা করবো।