কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেছেন, ‘আগামী ৭ দিনের মধ্যে রংপুর সিটি করপোরেশনকে পূর্বের মতো কার্যকর করবেন। আর যদি না করেন, তাহলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে রংপুর অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।’
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক রসিক মেয়র মোস্তফা ও কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে নগরীর শাপলা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগর ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভ মিছিলে প্ল্যাকার্ড হাতে বিভিন্ন স্লোগান দেন সাবেক মেয়র মোস্তফা ও কাউন্সিলরদের সমর্থকরা।
সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দাবি আদায় করতে গেলে আঙুল বাঁকা করতে হবে। মব ভায়োলেন্স আপনারা করতে পারেন, শাহবাগ অবরোধ করতে পারেন, রংপুরের মানুষ করতে পারে না? আপনারা আপনাদের পূর্ব পুরুষদের কাছে জেনে নেবেন রংপুরের মানুষ কী করতে পারে আর কী করতে পারে না। আগামী দিনে জ্বলে উঠবে রংপুরের সাধারণ মানুষ, আপামর জনতা। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে রংপুর অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।’
কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে মোস্তফা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে বলবো, আগামী ৭ দিনের মধ্যে সিটি পরিষদকে পূর্বের মতো কার্যকর করবেন। আর যদি না করেন, তাহলে ঈদের পরে ১২ অথবা ১৩ জুন থেকে নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে মঞ্চ বসিয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে।’
সিটি করপোরেশনের বর্তমান প্রশাসক দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সিটি করপোরেশনে এমন একজন দুর্নীতিবাজ বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যিনি টাকা ছাড়া কিছুই বোঝে না। প্রত্যেক ফাইলে এক পারসেন্ট করে কমিশন গুনে নিয়ে তালিকা দেবে, তারপরে সই করবে। এরকম একজন বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়ে রংপুর সিটিবাসীর প্রতি স্টিম রোলার চালানো হচ্ছে।’
মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘এই অথর্ব সরকার, এই অজ্ঞ সরকার, যারা স্থানীয় সরকার পরিচালনায় ও দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’
এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য দেন- সাবেক কাউন্সিলর মোখলেসুর রহমান তরু, মকবুল হোসেন, ফেরদৌসি বেগম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, মহানগরের সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মাহমুদুর রহমান টিটু, নজরুল ইসলাম দেওয়ানীসহ ১৫-১৬ জন কাউন্সিলর।