১৭ পেরিয়ে ১৮-তে পা দিয়েছেন জুলেখা। অন্য মেয়েদের মতো স্কুলে যান না, নেই কোনো দুরন্তপনা। ঘরে শুয়ে বসেই সময় কাটালেও অধিকাংশ সময় জানালার গ্রিল ধরে হতাশ চোখে তাকিয়ে থাকেন।
সরেজমিন দেখা যায়, জুলেখার মুখে বড় বড় লোম ও জখম কালো দাগের অজানা রোগে আক্রান্ত। তাকে দেখে ভূত ভূত বলে দৌড়ে পালিয়ে যায় অন্য ছেলেমেয়েরা। হতাশায় লজ্জাময় জীবনযাপন করছেন। প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে যান না। সব সময় ঘরেই সময় কাটান।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের দিনমজুর নজরুলের মেয়ে জুলেখা। তিন বোনের মধ্যে জুলেখা ২য়। তার চিকিৎসা করতে সরকারি সহায়তার আবেদন জানিয়েছে পরিবার।
জুলেখার বাবা ও মা বলেন, ৫ বছর আগে একবার নাটোরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম। টাকার অভাবে চলে আসছি। আর কোনো দিন নেইনি। একজনের আয় দিয়েই চলে ৫ জনের সংসার। সরকারিভাবে মেয়ের চিকিৎসা ব্যবস্থা করলে জুলেখা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।
সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস জানান, জন্মের পর থেকে মুখে লোম আর কালো দাগ পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আছে এমন দাগ। তাকে উন্নত চিকিৎসা দিলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।
প্রতিবেশীরা জানান, জুলেখার মুখে লোম এবং কালো দাগের কারণে আসলে বাহিরে বের হতে পারেন না, সবাই স্কুলে গেলেও সে বাড়িতে থাকে, বয়স বাড়ছে, পাত্রস্থ করতে হবে। দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিলে সুস্থ হবে।
গোপরেখী ড্যাফোডিল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লুৎফর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার চর্ম রোগ। চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হলে এ রোগ ভালো হবে। দেশেই চিকিৎসা সম্ভব।