ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঈদে আম ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আমাকে কালো জাদু করা হয়েছিল, ২২ দিন আইসিউতে ছিলাম সড়কপথে গাজার দিকে রওনা দিয়েছেন শত শত অধিকারকর্মী বিচ্ছেদকে বিদায়, যেভাবে ফের বান্ধবীর সঙ্গে এক হলেন এনজো ফার্নান্দেজ দেশ চালানোর মতো ক্ষমতা তারেক রহমানের আছে: ফজলুর রহমান লন্ডন বৈঠক সরকার ও বিএনপি উভয়ের জন্যই সুযোগ জাল টাকায় ক্ষতিগ্রস্ত সেই বৃদ্ধকে ওমরাহ করাবেন অপু বিশ্বাস পুরনো বাংলাদেশকে বিদায় বলে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই : প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তি, খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের অনন্য ভূমিকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি

নাতনিকে পাটখেতে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • ১৬ বার

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ১১ বছর বয়সি নাতনিকে পাটখেতে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে গোলাম হোসেন নামে এক প্রতিবেশী দাদার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন।শিশুটির জবানবন্দি ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জিনিসপত্রের লোভ দেখিয়ে ওই শিশুটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষক গোলাম হোসেন (৬০) নান্দাইল ইউনিয়নের বিলপাড় গ্রামের মৃত আসমত আলীর পুত্র। একই গ্রামের প্রতিবেশী শিশুটি গোলাম হোসেনকে দাদা বলে ডাকত।

এরই সুবাদে বিভিন্ন জিনিসের প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছে ডাকত শিশুটিকে।দুই সপ্তাহ আগে গোলাম হোসেন ওই শিশুকে পাশের পাটখেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায়। লজ্জা ও ভয়ে শিশুটি তখন কাউকে কিছু বলেনি। কিছুদিন যেতে না যেতেই শিশুটিকে বড় ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ফের পাটখেতে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ করে। এতে শিশুটি আহত হলেও তখনো মুখ খোলেনি। ওই সময় শিশুটির ভাবি রক্তক্ষরণের ঘটনা জানলেও মেয়েলি অসুখ হয়েছে মনে করে এড়িয়ে যান।মঙ্গলবার বিকালে বাড়ির কাছাকাছি একটি খালের পাড়ে বসে গাছ থেকে পেড়ে আম খাওয়া অবস্থায় গোলাম হোসেন আবারও তাকে পাটখেতে নিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ অবস্থায় পাটখেত থেকে কান্নারত অবস্থায় শিশুটিকে বের হতে দেখে আরেক শিশু।

পরে ওই শিশু বিষয়টি ধর্ষিতার পরিবারকে জানায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে নান্দাইল মডেল থানায় ধর্ষক গোলাম হোসেনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করা হয়।নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, বুধবার শিশুটিকে ২২ ধারায় জবানবন্দি ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে। অভিযুক্তকে আটক করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদে আম ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

নাতনিকে পাটখেতে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ

আপডেট টাইম : ০৭:০৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ১১ বছর বয়সি নাতনিকে পাটখেতে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে গোলাম হোসেন নামে এক প্রতিবেশী দাদার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন।শিশুটির জবানবন্দি ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জিনিসপত্রের লোভ দেখিয়ে ওই শিশুটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষক গোলাম হোসেন (৬০) নান্দাইল ইউনিয়নের বিলপাড় গ্রামের মৃত আসমত আলীর পুত্র। একই গ্রামের প্রতিবেশী শিশুটি গোলাম হোসেনকে দাদা বলে ডাকত।

এরই সুবাদে বিভিন্ন জিনিসের প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছে ডাকত শিশুটিকে।দুই সপ্তাহ আগে গোলাম হোসেন ওই শিশুকে পাশের পাটখেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায়। লজ্জা ও ভয়ে শিশুটি তখন কাউকে কিছু বলেনি। কিছুদিন যেতে না যেতেই শিশুটিকে বড় ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ফের পাটখেতে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ করে। এতে শিশুটি আহত হলেও তখনো মুখ খোলেনি। ওই সময় শিশুটির ভাবি রক্তক্ষরণের ঘটনা জানলেও মেয়েলি অসুখ হয়েছে মনে করে এড়িয়ে যান।মঙ্গলবার বিকালে বাড়ির কাছাকাছি একটি খালের পাড়ে বসে গাছ থেকে পেড়ে আম খাওয়া অবস্থায় গোলাম হোসেন আবারও তাকে পাটখেতে নিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ অবস্থায় পাটখেত থেকে কান্নারত অবস্থায় শিশুটিকে বের হতে দেখে আরেক শিশু।

পরে ওই শিশু বিষয়টি ধর্ষিতার পরিবারকে জানায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে নান্দাইল মডেল থানায় ধর্ষক গোলাম হোসেনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করা হয়।নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, বুধবার শিশুটিকে ২২ ধারায় জবানবন্দি ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে। অভিযুক্তকে আটক করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।