ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঈদে আম ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আমাকে কালো জাদু করা হয়েছিল, ২২ দিন আইসিউতে ছিলাম সড়কপথে গাজার দিকে রওনা দিয়েছেন শত শত অধিকারকর্মী বিচ্ছেদকে বিদায়, যেভাবে ফের বান্ধবীর সঙ্গে এক হলেন এনজো ফার্নান্দেজ দেশ চালানোর মতো ক্ষমতা তারেক রহমানের আছে: ফজলুর রহমান লন্ডন বৈঠক সরকার ও বিএনপি উভয়ের জন্যই সুযোগ জাল টাকায় ক্ষতিগ্রস্ত সেই বৃদ্ধকে ওমরাহ করাবেন অপু বিশ্বাস পুরনো বাংলাদেশকে বিদায় বলে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই : প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তি, খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের অনন্য ভূমিকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি

সিরাজগঞ্জে এবার কচু চাষে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • ১৭ বার

সিরাজগঞ্জে এবার কচু চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। অনেকেই কচু চাষে লাভবান হয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হেক্টর, তবে কৃষকদের আগ্রহে এই চাষ আরো বিস্তৃত হয়েছে।

জেলার উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও সদর উপজেলার নিচু জমি, বাড়ির আঙিনা, পুকুরপাড়, পতিত ও কাদামাটি জমিতে ব্যাপকভাবে লতিরাজ বারি-১ ও কালা কচুসহ দেশীয় জাতের কচু চাষ হয়েছে।

চাষিরা যশোর, খুলনা, সাভার ও রংপুর থেকে উন্নত জাতের চারা এনে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে রোপণ করেন। বিশেষ করে লতিরাজ বারি-১ ও কালা কচু চাষে সার, সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার করায় ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব কচুর লতা ও মূল স্থানীয় হাটবাজারে উঠেছে এবং দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা সন্তুষ্ট।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক ও সাবেক ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম বলেন, “আমার ৫ বিঘা জমিতে লতিরাজ ও কালা কচু চাষ করেছি। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে।”

তিনি জানান, প্রথমদিকে লতিরাজের লতা ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, বর্তমানে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লতিরাজের তুলনায় কালা কচুর ওজন বেশি—প্রতিটি কচু ১২ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে কচুর বিক্রিও শুরু হয়েছে।

জহুরুলের বাগানে কাজ করা নারী-পুরুষ দিনমজুররাও জানান, এই চাষে নিয়মিত কাজ পাওয়া যায়, আর আয়ও ভালো।

চাষিরা জানান, কৃষি বিভাগের কাছ থেকে আরও নিয়মিত পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ পেলে উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আ. জা. মুঃ আহসান শহীদ সরকার বলেন, “কম খরচে কচু চাষ অত্যন্ত লাভজনক। কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে উঠছে এবং কৃষি বিভাগ নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এবার ফলন খুবই ভালো হয়েছে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদে আম ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

সিরাজগঞ্জে এবার কচু চাষে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট টাইম : ১১:০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

সিরাজগঞ্জে এবার কচু চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। অনেকেই কচু চাষে লাভবান হয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হেক্টর, তবে কৃষকদের আগ্রহে এই চাষ আরো বিস্তৃত হয়েছে।

জেলার উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও সদর উপজেলার নিচু জমি, বাড়ির আঙিনা, পুকুরপাড়, পতিত ও কাদামাটি জমিতে ব্যাপকভাবে লতিরাজ বারি-১ ও কালা কচুসহ দেশীয় জাতের কচু চাষ হয়েছে।

চাষিরা যশোর, খুলনা, সাভার ও রংপুর থেকে উন্নত জাতের চারা এনে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে রোপণ করেন। বিশেষ করে লতিরাজ বারি-১ ও কালা কচু চাষে সার, সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার করায় ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব কচুর লতা ও মূল স্থানীয় হাটবাজারে উঠেছে এবং দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা সন্তুষ্ট।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক ও সাবেক ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম বলেন, “আমার ৫ বিঘা জমিতে লতিরাজ ও কালা কচু চাষ করেছি। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে।”

তিনি জানান, প্রথমদিকে লতিরাজের লতা ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, বর্তমানে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লতিরাজের তুলনায় কালা কচুর ওজন বেশি—প্রতিটি কচু ১২ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে কচুর বিক্রিও শুরু হয়েছে।

জহুরুলের বাগানে কাজ করা নারী-পুরুষ দিনমজুররাও জানান, এই চাষে নিয়মিত কাজ পাওয়া যায়, আর আয়ও ভালো।

চাষিরা জানান, কৃষি বিভাগের কাছ থেকে আরও নিয়মিত পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ পেলে উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আ. জা. মুঃ আহসান শহীদ সরকার বলেন, “কম খরচে কচু চাষ অত্যন্ত লাভজনক। কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে উঠছে এবং কৃষি বিভাগ নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এবার ফলন খুবই ভালো হয়েছে।”