ঢাকা ০৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা সড়কে প্রাণ হারালেন ২ মোটরসাইকেল আরোহী গত অর্থবছরে দেশে উৎপাদন ৪২ হাজার টন কমল অত্যধিক তাপপ্রবাহ, নাব্যতা সংকটসহ নদী দূষণে অভ্যন্তরীণ নদী মুখি হচ্ছে না ইলিশ পিরোজপুরে ব্যস্ত সড়কে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে রঙিন কৃষ্ণচূড়া নড়বড়ে কাঠের ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যায় শিশুরা হাসনাতকে অভিবাদন জানালেন সারজিস জুলাইকে অস্বীকার করে শান্তিতে থাকার সুযোগ নেই : আসিফ মাহমুদ হবিগঞ্জে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ভাই গ্রেপ্তার শুটিং সেটে মাথায় গুরুতর আঘাত, কেমন আছেন তটিনী পা দিয়ে লিখে হাবিপ্রবি’র ভর্তি পরীক্ষায় মানিকের চমক

অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা শেষ আগামী সপ্তাহ থেকে ইলিশ আহরণ বাড়তে পারে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • ১৩ বার

অভয়াশ্রমে টানা দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে বরিশাল অঞ্চলের নদ-নদীতে মাছ শিকারে নেমেছেন জেলেরা। বিভিন্ন মাছ ধরা পড়লেও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে কম।

জেলেরা বলছেন, জালে ধরা পড়ছে রামছোছ (তপসি), বেলে আর চিংড়ি। ইলিশ তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও আশার আলো দেখছে মৎস্য অধিদপ্তর। তাদের মতে, জাটকা বড় হয়ে সাগরে চলে গেছে। বৃষ্টির দেখা মেলায় আগামী সপ্তাহেই ইলিশ ও পাঙাশের আহরণ বাড়তে পারে।

গত মার্চ ও এপ্রিলে ইলিশের ষষ্ঠ অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ এবং সদর উপজেলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও কীর্তনখোলা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা। দুই মাসে নদ-নদীতে ব্যাপক অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল জাটকা বড় হওয়ার সুযোগ দেওয়া। মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ষষ্ঠ অভয়াশ্রমে নার্সিং শেষে জাটকার বড় অংশ সাগরের পথে চলে গেছে।

মোহাম্মদ আলমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাটকা বড় হয়ে দুই মাসে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি আকারের হয়ে গেছে। এর বেশির ভাগ সাগরে চলে গেছে।

জেলেরা অবশ্য মৎস্য অধিদপ্তরের কথায় ভরসা পাচ্ছেন না। মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার জেলে তোফায়েল হোসেন বৃহস্পতি ও শুক্রবার মেঘনায় নেমে কিছু মাছ পেয়েছেন। তিনি জানান, বেলে, পোয়া এবং রামছোছ ধরা পড়ছে। ইলিশ পেয়েছেন একটি। একই কথা জানালেন সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের জেলে আ. রাজ্জাক ও রিয়াজ মিয়া। তাঁরা জানান, কালাবদরে মাছ তেমন নেই। বিভিন্ন মাছ ধরা পড়ছে, তবে ইলিশ নেই।

এদিকে বরিশাল নগরের মাছের প্রধান মোকাম পোর্ট রোড ঘুরে কর্মচাঞ্চল্য দেখা গেছে। মাছের সরবরাহ বাড়লেও তা কাঙ্ক্ষিত নয়। মোকামের আড়তদার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মাছের আমদানি (সরবরাহ) বেড়েছে। তবে ইলিশ কম। আশা করছি, বৃষ্টি হলে মাছ ধরা পড়বে।’

পোর্ট রোড মৎস্য মোকামে নদীর কিছু মাছ উঠেছে। ইলিশ আছে, তবে কম। গতকাল ক্রেতার ভিড় ছিল প্রচুর। সদর মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছের আমদানি বাড়ছে। শুক্রবার ইলিশ উঠেছে ২০ মণের মতো; যা গত দুই দিনের চেয়ে ৪-৫ মণ বেশি। গতকাল এলসি সাইজের (৯০০ গ্রাম) ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ১ লাখ টাকা। কেজি সাইজের ইলিশ মণপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা আর ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮০ হাজার টাকা মণ। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় লঞ্চে মাছ সরবরাহ করা যেত না। এখন লঞ্চ ভরে মাছ রাজধানীতে পাঠানো হচ্ছে; যে কারণে পোর্ট রোড মোকামে মাছ কম। কামাল সিকদার আরও বলেন, এ ঘাটে ভোলা, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, শ্রীপুর, ভাসানচর থেকে মাছ আসে। এখন বেলে, পোয়া, পাঙাশের আমদানি ভালো। বৃষ্টি হলে ইলিশ আমদানি হবে বলে তিনি মনে করেন।

বরিশালে ইলিশের ষষ্ঠ অভয়াশ্রমে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জাটকাসহ অন্যান্য মাছ প্রায় ১ লাখ মণ উদ্ধার করা হয়েছে। জাল জব্দ করা হয়েছে সহস্রাধিক। ওই সময়ে ১২ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসে ওই পরিমাণের দ্বিগুণের বেশি জাটকা নিধন হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা শেষ আগামী সপ্তাহ থেকে ইলিশ আহরণ বাড়তে পারে

আপডেট টাইম : ১০:৫২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

অভয়াশ্রমে টানা দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে বরিশাল অঞ্চলের নদ-নদীতে মাছ শিকারে নেমেছেন জেলেরা। বিভিন্ন মাছ ধরা পড়লেও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে কম।

জেলেরা বলছেন, জালে ধরা পড়ছে রামছোছ (তপসি), বেলে আর চিংড়ি। ইলিশ তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও আশার আলো দেখছে মৎস্য অধিদপ্তর। তাদের মতে, জাটকা বড় হয়ে সাগরে চলে গেছে। বৃষ্টির দেখা মেলায় আগামী সপ্তাহেই ইলিশ ও পাঙাশের আহরণ বাড়তে পারে।

গত মার্চ ও এপ্রিলে ইলিশের ষষ্ঠ অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ এবং সদর উপজেলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও কীর্তনখোলা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা। দুই মাসে নদ-নদীতে ব্যাপক অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল জাটকা বড় হওয়ার সুযোগ দেওয়া। মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ষষ্ঠ অভয়াশ্রমে নার্সিং শেষে জাটকার বড় অংশ সাগরের পথে চলে গেছে।

মোহাম্মদ আলমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাটকা বড় হয়ে দুই মাসে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি আকারের হয়ে গেছে। এর বেশির ভাগ সাগরে চলে গেছে।

জেলেরা অবশ্য মৎস্য অধিদপ্তরের কথায় ভরসা পাচ্ছেন না। মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার জেলে তোফায়েল হোসেন বৃহস্পতি ও শুক্রবার মেঘনায় নেমে কিছু মাছ পেয়েছেন। তিনি জানান, বেলে, পোয়া এবং রামছোছ ধরা পড়ছে। ইলিশ পেয়েছেন একটি। একই কথা জানালেন সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের জেলে আ. রাজ্জাক ও রিয়াজ মিয়া। তাঁরা জানান, কালাবদরে মাছ তেমন নেই। বিভিন্ন মাছ ধরা পড়ছে, তবে ইলিশ নেই।

এদিকে বরিশাল নগরের মাছের প্রধান মোকাম পোর্ট রোড ঘুরে কর্মচাঞ্চল্য দেখা গেছে। মাছের সরবরাহ বাড়লেও তা কাঙ্ক্ষিত নয়। মোকামের আড়তদার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মাছের আমদানি (সরবরাহ) বেড়েছে। তবে ইলিশ কম। আশা করছি, বৃষ্টি হলে মাছ ধরা পড়বে।’

পোর্ট রোড মৎস্য মোকামে নদীর কিছু মাছ উঠেছে। ইলিশ আছে, তবে কম। গতকাল ক্রেতার ভিড় ছিল প্রচুর। সদর মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছের আমদানি বাড়ছে। শুক্রবার ইলিশ উঠেছে ২০ মণের মতো; যা গত দুই দিনের চেয়ে ৪-৫ মণ বেশি। গতকাল এলসি সাইজের (৯০০ গ্রাম) ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ১ লাখ টাকা। কেজি সাইজের ইলিশ মণপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা আর ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮০ হাজার টাকা মণ। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় লঞ্চে মাছ সরবরাহ করা যেত না। এখন লঞ্চ ভরে মাছ রাজধানীতে পাঠানো হচ্ছে; যে কারণে পোর্ট রোড মোকামে মাছ কম। কামাল সিকদার আরও বলেন, এ ঘাটে ভোলা, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, শ্রীপুর, ভাসানচর থেকে মাছ আসে। এখন বেলে, পোয়া, পাঙাশের আমদানি ভালো। বৃষ্টি হলে ইলিশ আমদানি হবে বলে তিনি মনে করেন।

বরিশালে ইলিশের ষষ্ঠ অভয়াশ্রমে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জাটকাসহ অন্যান্য মাছ প্রায় ১ লাখ মণ উদ্ধার করা হয়েছে। জাল জব্দ করা হয়েছে সহস্রাধিক। ওই সময়ে ১২ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসে ওই পরিমাণের দ্বিগুণের বেশি জাটকা নিধন হয়েছে।