ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
আল-জাজিরার বিশ্লেষণ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে উপেক্ষিত ইসরায়েল, কী বার্তা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র আগুনে পুড়ে ছাই কৃষকের ৪ গরু আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন আরএফকে সেন্টারের প্রধান কেরি কেনেডি সারজিস আলম ‘সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক সিরাজগঞ্জে এবার কচু চাষে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি এই পরিবর্তন শুধুই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য’ জানালেন লুবাবা দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস জবি শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি আজ আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের প্রশ্নে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র আজ দুই ধাপে আমিরাত যাবে বাংলাদেশ

দুই মাস পর পদ্মা-মেঘনায় ফিরলেন হাজারো জেলে, ইলিশ ধরা শুরু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • ১৪ বার

ইলিশ সংরক্ষণ মৌসুম শেষে বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। এতে দুই মাস পর নদীতে ফিরেছেন হাজারো জেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান।

জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা (২৫ সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের ইলিশ) সংরক্ষণের লক্ষ্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এ সময় পরিচালিত ১,০৬৪টি অভিযানে ১২৯ জন জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ জনকে কারাদণ্ড ও ১২৪ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযানে জব্দ হয়- কারেন্ট জাল ১২ লাখ ৭০৫ মিটার, বেহুন্দি জাল ১৩টি, অন্যান্য জাল ৩৩৪টি, জাটকা ৬ হাজার ৭৬৬ টন, অন্যান্য মাছ: ৩০৫২ টন।

এছাড়া জব্দ করা সরঞ্জাম নিলামে বিক্রি হওয়া ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়।

সদরের মৎস্যজীবী নেতা তছলিম ব্যাপারী বলেন, ইলিশ পাওয়ার আশায় জেলেরা নদীতে নামতে শুরু করেছে। ইলিশ ধরা প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। তবে সরকার বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে এবং বিভিন্ন উপকরণ সহায়তা দিচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী বলেন, দুই মাস পর আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরা শুরু করেছে। অভিযানকালে জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে ৪ কিস্তিতে মোট ১৬০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই মাসের কঠোর অভিযানের ফলে এবার নদীতে ইলিশের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।

নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, দুই মাসের অভিযানে চাঁদপুর অংশে একটি থানা ও পাঁচটি পুলিশ ফাঁড়ির মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারি চালানো হয়। এতে ৯ কোটি ৯০ লাখ ৩৪ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ১৮ টন জাটকা জব্দ হয়। আটক করা হয় ২৬৮ জন জেলে এবং ১২৩টি নৌযান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আল-জাজিরার বিশ্লেষণ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে উপেক্ষিত ইসরায়েল, কী বার্তা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

দুই মাস পর পদ্মা-মেঘনায় ফিরলেন হাজারো জেলে, ইলিশ ধরা শুরু

আপডেট টাইম : ১০:৪৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

ইলিশ সংরক্ষণ মৌসুম শেষে বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। এতে দুই মাস পর নদীতে ফিরেছেন হাজারো জেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান।

জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা (২৫ সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের ইলিশ) সংরক্ষণের লক্ষ্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এ সময় পরিচালিত ১,০৬৪টি অভিযানে ১২৯ জন জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ জনকে কারাদণ্ড ও ১২৪ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযানে জব্দ হয়- কারেন্ট জাল ১২ লাখ ৭০৫ মিটার, বেহুন্দি জাল ১৩টি, অন্যান্য জাল ৩৩৪টি, জাটকা ৬ হাজার ৭৬৬ টন, অন্যান্য মাছ: ৩০৫২ টন।

এছাড়া জব্দ করা সরঞ্জাম নিলামে বিক্রি হওয়া ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়।

সদরের মৎস্যজীবী নেতা তছলিম ব্যাপারী বলেন, ইলিশ পাওয়ার আশায় জেলেরা নদীতে নামতে শুরু করেছে। ইলিশ ধরা প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। তবে সরকার বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে এবং বিভিন্ন উপকরণ সহায়তা দিচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী বলেন, দুই মাস পর আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরা শুরু করেছে। অভিযানকালে জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে ৪ কিস্তিতে মোট ১৬০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই মাসের কঠোর অভিযানের ফলে এবার নদীতে ইলিশের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।

নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, দুই মাসের অভিযানে চাঁদপুর অংশে একটি থানা ও পাঁচটি পুলিশ ফাঁড়ির মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারি চালানো হয়। এতে ৯ কোটি ৯০ লাখ ৩৪ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ১৮ টন জাটকা জব্দ হয়। আটক করা হয় ২৬৮ জন জেলে এবং ১২৩টি নৌযান।