মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ইছামতি নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে বালু। সেই বালু দিয়ে এলজিইডির নির্মাণাধীন সড়ক ভরাটসহ আশপাশের ব্যক্তিগত জায়গা ভরাট করা হচ্ছে। এতে নদীতীরবর্তী জমিসহ বাড়িঘর ভাঙার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বাল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য কাজী রেজা এই ড্রেজার ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, বাল্লা ইউনিয়নের জগৎবেড় থেকে মালুচী পর্যন্ত ১১০০ মিটার সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আনিস এন্টারপ্রাইজ।
গতকাল সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের পাশে ইছামতি নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে ভরাট করা হচ্ছে সড়ক। সড়কের পাশাপাশি আশপাশের ব্যক্তিগত জায়গাও ভরাট করা হচ্ছে। ড্রেজারের শ্রমিক আলম বলেন, ‘ড্রেজার কাজী রেজার। তার সঙ্গে কথা বলেন।’
জগৎবেড় গ্রামের সেলিমের ৬ শতাংশ নিচু জমি ভরাট করা হয়েছে। সেলিমের স্ত্রী বলেন, ‘এই জায়গা ড্রেজার দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। জমি আমরা জামালের কাছে বিক্রি করেছি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ‘ইছামতি নদী থেকে বালু তুলে সড়ক ভরাট করা হচ্ছে। সড়ক হলে আমাদের উপকার হবে। কিন্তু ড্রেজিং-এর কারণে নদী পাড়ের জমি-বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা কাজী রেজা ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছেন।’
বালু তোলার কথা স্বীকার করে কাজী রেজা বলেন, ‘ওই সড়কে বালু পরিবহনের ট্রাক ঢোকার মতো জায়গা না থাকায় নদী থেকে ড্রেজিং করে বালু তোলা হচ্ছে।’
এদিকে ঠিকাদার মো. আনিস বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন আমাকে নদী থেকে বালু নিয়ে ভরাট করতে বলেছেন। তাই আমি ইউনুছ ও কাজী রেজার মাধ্যমে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু তুলে রাস্তা ভরাট করছি।’ তবে ড্রেজার ব্যবসায়ী ইউনুছ বালু তোলার সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খোরশেদ আলম বলেন, ‘যাচাই করে এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’