ঢাকা ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

অনেক বন্যা দেখেছি, এমন ভয়ংকর পরিস্থিতি দেখিনি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • ৫৯ বার

বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় এখনো খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে বানভাসি অনেক মানুষ। বৃষ্টি বাদলে মাথার ওপর পাতলা পলিথিন তাদের ভরসা। সব হারানো এসব মানুষ জানেনও না, আদৌ ফিরতে পারবেন কিনা নিজ বাড়িতে। আপাতত বাঁচার জন্য খাবার আর পরে পুনর্বাসনে সবার সহায়তা চেয়েছেন তারা।

ভোগান্তি নিয়ে কথা হয় কুমিল্লা সদরের শাহ আলমের সাথে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের সামনে তলিয়ে গেছে তার বাড়ি। এখন পাশের উঁচু রাস্তায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তার বসবাস।

শাহ আলম বলেন, এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কিছুই নিয়ে আসতে পারিনি। খাবার কষ্ট, সবকিছুরই কষ্ট। রাস্তার ওপরে আশ্রয় নিয়েছি। মশার উৎপাতে ঘুমাতেও পারি না।

শাহ আলমের মতো কুমিল্লার এমন শতশত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে রাস্তার পাশে। ঘোষিত আশ্রয় কেন্দ্র না খোলায় এখানে পর্যাপ্ত ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তা মিলছে না। বানের পানিতেই তাদের ধোয়া-মাজা চলে। পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় নানা ভোগান্তিও বাড়ছে এসব মানুষদের।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, ছোট থেকে অনেক বন্যা দেখেছি। কিন্তু এবারের মতো এমন ভয়ঙ্কর বন্যা কখনো দেখিনি। বাড়িঘর, সম্পদ সব হারিয়ে গেছে। এমন অসহায় অবস্থায় জীবনেও পড়িনি আমরা।

আরেকজন বলেন, এই কষ্টের শেষ কবে হবে? কোনদিন আমরা আবার ফিরব নিজের বাড়িতে?

ভুক্তভোগী এসব মানুষজন জানেন না, কবে নামবে পানি, ফিরবেন আপন ঠিকানায়। তার চেয়েও বড় চিন্তা ফিরে থাকবেন কোথায়, বাড়ি ঘর সম্পদ সবই তো তলিয়ে গেছে। তাই অনিশ্চিত তাদের ভবিষ্যৎ। ভুক্তভোগী এসব মানুষের প্রার্থনা, নতুন করে আর পানি না বাড়ুক।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

অনেক বন্যা দেখেছি, এমন ভয়ংকর পরিস্থিতি দেখিনি

আপডেট টাইম : ১০:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় এখনো খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে বানভাসি অনেক মানুষ। বৃষ্টি বাদলে মাথার ওপর পাতলা পলিথিন তাদের ভরসা। সব হারানো এসব মানুষ জানেনও না, আদৌ ফিরতে পারবেন কিনা নিজ বাড়িতে। আপাতত বাঁচার জন্য খাবার আর পরে পুনর্বাসনে সবার সহায়তা চেয়েছেন তারা।

ভোগান্তি নিয়ে কথা হয় কুমিল্লা সদরের শাহ আলমের সাথে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের সামনে তলিয়ে গেছে তার বাড়ি। এখন পাশের উঁচু রাস্তায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তার বসবাস।

শাহ আলম বলেন, এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কিছুই নিয়ে আসতে পারিনি। খাবার কষ্ট, সবকিছুরই কষ্ট। রাস্তার ওপরে আশ্রয় নিয়েছি। মশার উৎপাতে ঘুমাতেও পারি না।

শাহ আলমের মতো কুমিল্লার এমন শতশত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে রাস্তার পাশে। ঘোষিত আশ্রয় কেন্দ্র না খোলায় এখানে পর্যাপ্ত ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তা মিলছে না। বানের পানিতেই তাদের ধোয়া-মাজা চলে। পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় নানা ভোগান্তিও বাড়ছে এসব মানুষদের।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, ছোট থেকে অনেক বন্যা দেখেছি। কিন্তু এবারের মতো এমন ভয়ঙ্কর বন্যা কখনো দেখিনি। বাড়িঘর, সম্পদ সব হারিয়ে গেছে। এমন অসহায় অবস্থায় জীবনেও পড়িনি আমরা।

আরেকজন বলেন, এই কষ্টের শেষ কবে হবে? কোনদিন আমরা আবার ফিরব নিজের বাড়িতে?

ভুক্তভোগী এসব মানুষজন জানেন না, কবে নামবে পানি, ফিরবেন আপন ঠিকানায়। তার চেয়েও বড় চিন্তা ফিরে থাকবেন কোথায়, বাড়ি ঘর সম্পদ সবই তো তলিয়ে গেছে। তাই অনিশ্চিত তাদের ভবিষ্যৎ। ভুক্তভোগী এসব মানুষের প্রার্থনা, নতুন করে আর পানি না বাড়ুক।