মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলায় অতিরিক্ত শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা, শাক-সবজি, পাট চাষ ও মৌসুমি ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (২১ মে) বিকালে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় গাছ-পালা ও ঘর ভেঙ্গে মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন, পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের আনোয়ারা (৪৫), কুলিয়াটি গ্রামের পারভিন আক্তার(৫০), শিবাশ্রম গ্রামের আঃ হান্নান (৫৫) প্রমুখ।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে গাছের সব আম ঝরে গেছে। আম ও লিচু গাছের ডাল-পালা তছনছ হয়ে গেছে। পৌর শহরের বৈশ্য পাড়ার লিটন দাসের ঘরের চালা উড়ে গেছে। মনোহরপুর গ্রামের জামেমসজিদ ভেঙ্গে গেছে ও বিভিন্ন ঘর-বাড়ি তছনছ হয়ে গেছে।
শাহাপুর পূর্বপাড়ার শাজাহান মিয়া জানান, সবুজ বাজারে আমার একটি দোকান ঘরসহ মোট তিনটি টিনের চালা উড়ে গেছে। চানগাঁও গ্রামের চায়না বেগম, রাইছ উদ্দিন, আঃ কাইয়ুম, আঃ আজিজের ঘর ভেঙ্গে গেছে।
নেত্রকোণা (মদন) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. ফিরোজ হোসেন জানান, মদন ও খালিয়াজুরি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎতের খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে মদন ফায়ার সার্ভিস ও আমাদের লোকেরা যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে গাছ-পালা, শাক-সবজি, মৌসুমি ফল ও পাট ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়ার অবস্থা ভালো হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
মদন পৌর মেয়র মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ জানান, ঝড়ে আমার পৌর শহরে বিভিন্ন জায়গায় ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা ও বিদ্যুৎতের খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। তছনছ হয়ে গেছে কৃষকের সবজি বাগান। আহতও হয়েছে কয়েকজন। ইতোমধ্যে আমি ও কাউন্সিলর জামাল হোসেন পরিদর্শনে আছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়া জানান, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় ও সেবা দানের জন্য তাৎক্ষণিক একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতি ইউপি চেয়ারম্যানকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছি। ইতোমধ্যে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও উপজেলা প্রশাসনের টিম মাঠে কাজ করছে।