বিএনপি নেতারা কে কোথায় ঈদ করবেন

ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে বিএনপির অনেক নেতা ঢাকা ছেড়ে এলাকায় গেছেন। নিজ নিজ এলাকায় নেতাকর্মী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেবেন তারা। রাজধানীতেও ঈদ উদযাপন করবেন অনেকে। জ্যেষ্ঠ নেতাদের কেউ কেউ ঢাকায় ঈদের নামাজ আদায় করে এলাকায় যাবেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় ঈদ করবেন। ঈদের পর তার নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করার কথা রয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামের নিজ এলাকায় ঈদ করবেন।

ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান ঢাকায় থাকবেন। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের ঈদের দিন নিজ এলাকা নরসিংদীতে যাওয়ার কথা রয়েছে। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর এবং সালাউদ্দিন আহমেদ ভারতে আছেন।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাড়ে চার মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন। তিনি ৫০টি মামলায় জামিন পেয়েছেন, তার মুক্তিতে এখন কোনো বাধা নেই। কারামুক্ত হলে রাজধানীর আদাবরের বাসায় তার ঈদ করার কথা রয়েছে।

এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ অনেকে ঢাকায় থাকবেন।

ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকতউল্লাহ বুলু নোয়াখালীতে, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বরিশালে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নাটোরে নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ময়মনসিংহের নিজ এলাকা থেকে ঘুরে এসেছেন। ঢাকায় ঈদ করে তিনি আবারও নিজ এলাকায় যাবেন।

আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদের নিজ এলাকা মুন্সীগঞ্জে যাওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল নিজ এলাকা জামালপুরের মেলান্দহে, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, তাবিথ আউয়াল ও প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ঢাকায় ঈদ করবেন। ঢাকা মহানগরের আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনু নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন।

রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেক নেতা এলাকায় যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। এ কারণেও অনেক নেতা ঢাকায় ঈদ করবেন বলে জানিয়েছেন। বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন স্বপন বলেন, ‘এখনো ঠিক করিনি কোথায় ঈদ করব। যখনই নিজ এলাকায় যেতে চাই, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বাধা দেয়।’ মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি নিজ এলাকা লক্ষ্মীপুরে থাকবেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আমাদের সময়কে বলেন, ‘আন্দোলনে বিজয়ী হয়ে দেশবাসীকে নিয়ে ঈদের আনন্দ করতে চাই। কারণ দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, বাকস্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের কষ্টের সীমা নেই। এবারের ঈদ গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের জন্য আনন্দ বয়ে আনবে না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশের চলমান অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে বিএনপিসহ দেশের বিরোধী দল কাজ করছে। এ জন্য রমজানেও রাজপথে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতির অংশ হয়ে উঠবে এবারের ঈদ।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর