সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণে মাঠে নেমেছে এক-এগারোর কুশীলবরা

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, দেশের সুশীল সমাজের একটি অংশ জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তৎপর হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণে নীলনকশা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে এক-এগারোর কুশীলবরা। এদের কারণে গণতান্ত্রিক সরকার বার বার সংকটে পড়ে। অগণতান্ত্রিক শক্তি ডালপালা মেলে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারলেই এদের পোয়াবারো।

শনিবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে হাসপাতাল মাঠে রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ৭৫’ এর প্রেক্ষাপট খতিয়ে দেখলে দেখবেন-হলিডে ও গণকণ্ঠ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল। একশ্রেণির ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী, দেশ গেল বলে আর্তনাদ করেছিল। সেই পুরানো খেলা চলমান। চারদিকে হতাশার নানা বাদ্যযন্ত্র বাজানো হচ্ছে। কয়েকজন সুশীল তাদের নিয়ন্ত্রিত কিছু গণমাধ্যম, কিছু মতলববাজ সুযোগসন্ধানী দুর্বৃত্ত, ক্ষমতার মধু খাওয়া কিছু নব্য মোশতাক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কেউ কেউ আরেকটি এক-এগারোর আয়োজন করতে চাচ্ছে। সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে মরিয়া এরা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের নাড়ীর সম্পর্ক। এদেশের জনগণকে সবসময় পাশে পেয়েছি। জনগণ থাকে সেই সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখায়। আমাদের নেত্রী এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন ধারণ করে, তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে এদেশের মানুষ আছে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সামনে অনেক কাজ। যদি যুবলীগ করতে চান, তাহলে পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে হবে। জনগণের পাশে থাকতে হবে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যেতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, আওয়ামী লীগের কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা। তাদের ভালোমন্দ দেখা। তাই যুবলীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী উপহার বিতরণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ সব সূচকে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে আজ সম্মানের সঙ্গে দেখা হয়। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। ৭১’-এর পরাজিত শক্তি জামায়াত-বিএনপি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, দেশের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। এই সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে যুবলীগকেই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বের অর্থনীতি যখন টালমাটাল সেই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘূর্ণায়মান। আজকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়ে যায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক, সিগনেচার ব্যাংক, সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইস ব্যাংক। বাংলাদেশে একজন শেখ হাসিনা আছে বলেই কোন ব্যাংক বন্ধ হয় না, ইন্স্যুরেন্স বন্ধ হয় না, না খেয়ে কেই থাকে না।

সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আজ বিএনপি নেতারা গণতন্ত্র নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছেন। যারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ তারাই বিএনপি করে। বিএনপির জন্ম সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে। ২০০২-২০০৬ সাল বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছিল। বাড়ি-ঘর করতে গিয়ে চাঁদা দেওয়া লেগেছে, ব্যবসা করতে গিয়ে চাঁদা দেওয়া লেগেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন খসরু, অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. আবদুল হাই, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-অর্থ সম্পাদক সরিফুল ইসলাম দুর্জয়, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ আরও অনেকে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর