দুবাইর আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানকে ধরতে গোয়েন্দা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
শনিবার (১ এপ্রিল) বিকালের দিকে ঢাকা মহানর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ডিবির তদন্তে আমাকে ডাকা হলে আমি আসবো। আজও ওই বিষয়ে কথা হয়েছে।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে ব্যক্তিগত সমস্যার অভিযোগ নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করেন হিরো আলম।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে দুবাইয়ে পলাতক পুলিশ হত্যা মামলার আসামি আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি। আরাভ ইস্যুতে কোনও তথ্য বা সহযোগিতা লাগলে আমি করবো। আরাভের বিষয়টি যেহেতু তারা তদন্ত করছে। যেকোনও প্রয়োজনে তথ্য লাগলে তাদের (ডিবিকে) দেবো। আজও এই বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে।
আরাভ পুলিশ হত্যা মামলার আসামি, বিষয়টি না জানার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ডিবি থেকে আগে কিছু জানানো হয়নি। আমি আরাভের দাওয়াতেই দুবাই গিয়েছিলাম। তদন্তের স্বার্থে আরাভের বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে আমি সহযোগিতা করবো। তারা আমাকে ডাকলে আমি আসবো। সে যদি আসামি হয়ে থাকে, তাহলে তাকে ধরতে সহযোগিতা করা নাগরিক হিসেবে আমার দায়িত্ব। তাই তদন্তের প্রয়োজনে ডাকলে আমি আসবো।
হিরো আলম বলেন, ডিবিতে আমাকে ডাকা হয়নি। আপনারা দেখছেন চলচ্চিত্রের কিছু লোকজন আমাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় নানা ধরনের কথা বলছে। আগে আমাকে কেউ বকা দিলেও প্রতিবাদ করতাম না। কিন্তু চলচ্চিত্রের কিছু পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতা-অভিনেত্রী আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের কথা ছড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আমি লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছি।
নির্দিষ্ট কার বিরুদ্ধে অভিযোগ, জানতে চাইলে কারও নাম উল্লেখ না করে হিরো আলম বলেন, আমি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেছি। এতে যারা আমাকে নিয়ে নানা ধরনের কথা বলেছেন, তাদের নাম আছে।
তিনি বলেন, আমার ফেসবুক ও ইউটিউবের কিছু কন্টেন্ট কিছু ব্যক্তি নিজের কন্টেন্ট বলে লাইসেন্স করে নিয়েছে। তারা এখন এসব তাদের দাবি করে আমার চ্যানেলে স্ট্রাইক ও রিপোর্ট করছে। সব মিলিয়ে আমি নিজেই এসেছি ডিবি অফিসে। অভিযোগে কন্টেন্ট নিয়ে যারা রিপোর্ট মেরেছে, তাদের নামও আছে বলে জানান তিনি।
গোয়েন্দা প্রধানের প্রশংসা করে হিরো আলম বলেন, হারুন স্যার অনেক ভালো মানুষ। আমার অভিযোগ তিনি শুনেছেন। তিনি আমাকে সমস্যা সামাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া আগামী নির্বাচনে তিনি আমাকে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।