মিঠামইন ফেরিঘাট ডুবে যাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উত্তারাঞ্চল থেকে বয়ে আসা বৃষ্টির পানি ধিরে ধিরে রুপ মিলছে সর্বনাশা অকাল বন্যার আকারে, দিন দিন নদীগুলোতে বাড়ছে পানির চাপ, নদীর পাশ ঘেসা হাওর গুলোতে এখন থৈথৈ পানি, পানির নিচে পরে কাচাঁ/পাকা ধান গুলো ঢেউ এর তালে তালে দুল খেলে আর  কৃষকদের হৃদয়ে হাহাকারের সুর মেতে উঠে, বারি বর্ষণের পানি হাজার কৃষকের হৃদয়ে আজ কষ্টের তীর ছুড়ে দিয়েছে। ভারত থেকে সিলেটের পাশ ঘেসে সুনামগঞ্জ হাওর হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাওর ইতিমধ্যে ডুবে আছে, এবং সংকটাপন্ন অবস্থায় সময় গুনছে আরো কিছু হাওর, বাধ, এবং রাস্তাঘাট।

 

নদ-নদীর চলন্ত পথ পরিবর্তন, পলিমাটিতে চর, আরো বিভিন্ন কারনে নদীগুলোতে পানির ধারন ক্ষমতা কম বলে সম্ভবত অল্প বৃষ্টিতেই পানি ফুলছে উঠে বন্যার আকার ধারন করে, হাওরের পাশাপাশি জনজীবনে আজ যাতায়াতের বিঘ্নতায় ভোগান্তি  ঘটাচ্ছে এই পাহাড়ি ঢল ও বারিবর্ষণের পানি।  কিশোরগঞ্জ জেলাসদর হতে ইটনা,মিঠামইন, অষ্ট্রগ্রাম যাতায়াতের জন্য  সংসদ সদস্য জননেতা রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক এম.পি মহোদয়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ২০২০ ইং হতে করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা ধনু নদীর উপর এবং মিঠামইন সদর ঘোড়াউত্রা নদীর উপর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) এর দুটি  ফেরি চলছে, শুকনো মৌসুমে গাড়ী ও জনবল পারাপারের ব্যস্ততম পথ হয়ে উঠেছে এই মাধ্যম, হঠাৎ করে বৃষ্টির পানি প্রচন্ড আকারে নদীর উপর চাপ সৃষ্টি করায়, ফেরিতে উঠার রাস্তা গুলো তলিয়ে যায়, বিঘ্ন ঘটছে মানুষ ও যানবাহন ফেরিতে উঠা নামার।

 

স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহল সোচ্চার, দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে, প্রতিদিন হাওর উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন ছুটছেন হাওরের দেশে হাওর ও ফসল রক্ষায়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিভিন্ন নির্দেশ থাকায় কৃষক ছুটছেন জীবন বাচাঁনোর তাগিদে আধা পাকা ও কাচাঁ ধান কাটতে। স্থানীয় সংসদ জননেতা রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক এম.পি মহোদয়  ইতিমধ্যে হাওরের মানুষকে নির্দেশনা দিয়েছেন দ্রুত “ধান কাটতে”। আজ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সকল কৃষকদের হাতে হাত রেখে থাকতে হবে হাওরের পানে, একধাপ এগিয়ে থাকতে হবে নিজ নিজ এলাকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কে।

 

 

 

 

 

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর