চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সরাতে সরকারের কোন আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। স্থানীয়দের আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেছেন, এটি সরকারের কোন বিষয় নয়। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। তারা সেখানে জমি অধিগ্রহণ করেছে। এখন তারা যদি মনে করে, হতাহতের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থান পরিবর্তন করবে সে ক্ষেত্রে সরকার কোন আপত্তি করবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের
প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নসরুল হামিদ বলেন, আবার বাশখালীতে করতে চাইলেও সরকারের আপত্তি থাকবে না। তবে হতাহতের ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। স্থানীয় প্রশাসন এর মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি করে দোষীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
গত কয়েকদিন ধরে লোডশেডিংয়ে বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি ‘বিদ্যুৎ বিভ্রাট’। বিদ্যুৎ বিতরণের সরবরাহ লাইনের সমস্যার কারণে এমনটা হচ্ছে। সরবরাহ করার মতো বিদ্যুৎ না থাকলে বা কোনো কারণে সরবরাহ লাইন বন্ধ রাখা হলে সেটিকে লোডশেডিং বলে। এখন এই সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে না। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার সমস্যার কারণে এমনটা হচ্ছে।
এর কারণ ব্যাখ্যা করে নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু এই পরিমাণে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ করার মতো সামর্থ তৈরি হয়নি। ফলে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ লাইন বন্ধ হচ্ছে। এই সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রকল্প নেয়া হয়েছে। তবে এগুলো কিছুটা সময়সাপেক্ষ কাজ। ২০২০ সালের মধ্যে সরকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চায় বলেও তিনি জানান।