কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর মৃত্যুর কারণ জানতে দ্বিতীয় ময়না তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে সিআইডির তদন্ত দল। তবে তনুর মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরে প্রযুক্তিগত তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিআইডি। তবে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান মঙ্গলবার বলেন, তনুকে কেউ না কেউ হত্যা করেছে। সেই খুনীকে খুঁজে বের করাই এখন লক্ষ্য। তিনি বলেন, প্রথম ময়না তদন্তে ধর্ষণের আলামত না পাওয়া গেলেও দ্বিতীয় ময়না তদন্ত রিপোর্টে অনেক কিছু পরিষ্কার হতে পারে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনার দিন তনুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডের সূর ধরে প্রযুক্তিগত তদন্ত চালানো হচ্ছে। সিআইডির অনুরোধে ছায়া তদন্তে থাকা পিবিআইয়ের (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) একটি দল গত দুইদিন তনুর মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে সারাদিন তনুদের বাসা থেকে শুরু করে সেনানিবাস ও আশপাশ এলাকায় প্রযুক্তিগত তদন্ত চালিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের দিন ২০ মার্চ সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় তনু সর্বশেষ তার এক বন্ধুর সাথে কথা বলেছেন। তনুর ওই ফেইসবুক ফ্রেন্ড ঢাকায় থাকেন। এখন তনুর ফোনের কললিস্ট ধরে প্রোফাইলিংয়ের কাজ চলছে। বিশেষ করে হত্যাকাণ্ডের দু’একদিন আগে থেকে তনুর মোবাইল কলের রেকর্ড সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে যেসব ফোন থেকে একাধিক কল এসেছে, তনু যেসব ফোন ধরেননি সেগুলোও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় নিজের বাসার কাছে গত ২০ মার্চ রাতে খুন হন স্থানীয় ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনু।