অটিজম মোকাবেলায় বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল বলেছেন, রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকলে যে কোনো সংকট উত্তরণ সম্ভব।
শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল সেন্টারে আয়োজিত এক আলোচনার মূল প্রবন্ধে তিনি এসব কথা বলেন।
পুতুল বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকলে অটিজম আক্রান্তদের যে সমাজের অপরিহার্য অঙ্গে পরিণত করতে করা সহজ হয়, বাংলাদেশ তার জলজ্যান্ত উদাহরণ।এভাবে যে কোনো কঠিন সংকটেরও উত্তরণ সম্ভব।’
বাংলাদেশ সরকারের অটিজম সংকট উত্তরণে নেয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জাতীয় উন্নয়নে অটিজম আক্রান্তদের সম্পৃক্ত করতে সরকার কাজ করছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অটিজম আক্রান্তদের বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যেন সমগ্র জনগোষ্ঠী তাদের সম্পর্কে স্বাভাবিক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে পারে। চাইল্ডহুড সেন্টারগুলিতে অন্তত দু’জন প্রতিবন্ধী শিশু ভর্তি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ন্যাশনাল অটিজম এন্ড এনডিডি একাডেমি স্থাপন করেছে।’
‘বাংলাদেশের সব স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অটিজম আক্রান্তরা কোনভাবেই অবহেলিত হবে না এমন নির্দেশনা দেওয়ার হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের নাটক, সিনেমা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অটিজম আক্রান্তদের সুযোগ দেয়ারও একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছ ‘-বলেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ, ভারত, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র মিশনের সহায়তার অটিজম স্পিকস আয়োজিত এই আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের পত্নী বান সুন-তায়েক, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন-মোমেন, কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি আলইয়া আহমেদ সাইফ আল-থান, যুক্তরাষ্ট্রের সারাহ মেন্ডেলসন, ভারতের সাঈদ আকবর উদ্দিন ও অটিজম স্পিকস এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা সুজান রাইট।