হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের প্রথম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ‘মা’-এর নামে প্রতিষ্ঠিতি তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ মাহবুব-উল-ইসলাম। এতে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হক নূরু।
কিশোরগঞ্জ জেলার হাওরবেষ্টিত এক সময়ের দুর্গম উপজেলা মিঠামইন সদরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের উদ্যোগ, অনুপ্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৮৫ সালে তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হক নূরু হাওর অঞ্চলের শিক্ষা বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া নারী সমাজের মধ্যে শিক্ষার আলো বিতরণের মহানব্রত নিয়ে নিজের ‘মা’-এর নামে প্রস্তাবিত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র ২৪-২৫ জন ছাত্রী, ৫ জন শিক্ষক ও ২জন কর্মচারী নিয়ে তিনি তৎকালীন মিঠামইন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের ৩টি কক্ষে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেন।
১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থানে বাঁশের বেড়ার একচালা টিনের ঘরে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম আরম্ভ হয়। ১৯৮৮ সালে মাত্র ৬জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করে।
বিদ্যালয়ের নিবেদিতপ্রাণ প্রধান শিক্ষক অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ছাত্রী সংগ্রহ করেছেন।
ওই সময়ে হাওরের তিন উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে কোন বালিকা বিদ্যালয় ছিল না।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রী সংখ্যা ৬০০ জন। প্রতি বছরই জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার প্রায় শতভাগ।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ২১ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা ও ৫ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।