ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চা-বাগানে বাড়ছে যক্ষ্মারোগী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • ৩৬৪ বার

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার চা-বাগানগুলোতে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ৪ মাসে এই উপজেলায় শিশুসহ ৫২ জন যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এসকল রোগীদের সবাই চা-বাগান এলাকার। এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব থাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার ১৪ টি চা-বাগানসহ গত অক্টোবর-জানুয়ারী মাসে যক্ষ্মা শনাক্ত করতে ৩২৯ জনের বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে উদনা, ইটা, রাজনগর, উত্তরভাগ, বড়দল ও করিমপুর চা-বাগানে ৫২ জনের যক্ষ্মা ধরা পরে। আক্রান্তদের মধ্যে কফ পরীক্ষায় ৩৫ জন, এক্স-রের মাধ্যমে ১৩ জনকে শনাক্ত করা হয়।

ফুসফুসের বাইরে আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের চেয়ে ১৭ জন বেশী। যক্ষ্মার ঝুঁকি প্রবণ চা-বাগানগুলোতে মানুষ সচেতন না হওয়ায় এ রোগ আরো বাড়ছে। এসব এলাকার রোগীদের সচেতন করতে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা উদ্যোগ নিয়েছে।

চা-বাগানগুলোতে যক্ষ্মা নির্মূলে ইউএসআইডি চ্যালেঞ্জ টিবি বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা হীড বাংলাদেশ। এসব এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে তারা বিভিন্ন কার্মসূচি হাতে নিয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বর্ণালী দাস পূর্বপশ্চিমবিডিকে জানান, বাগানগুলোতে যক্ষ্মা রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সাধারণত এ রোগ ছড়ায়। এসব এলাকার মানুষকে সচেতন করা গেলে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমে আসবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চা-বাগানে বাড়ছে যক্ষ্মারোগী

আপডেট টাইম : ১০:২৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার চা-বাগানগুলোতে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ৪ মাসে এই উপজেলায় শিশুসহ ৫২ জন যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এসকল রোগীদের সবাই চা-বাগান এলাকার। এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব থাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার ১৪ টি চা-বাগানসহ গত অক্টোবর-জানুয়ারী মাসে যক্ষ্মা শনাক্ত করতে ৩২৯ জনের বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে উদনা, ইটা, রাজনগর, উত্তরভাগ, বড়দল ও করিমপুর চা-বাগানে ৫২ জনের যক্ষ্মা ধরা পরে। আক্রান্তদের মধ্যে কফ পরীক্ষায় ৩৫ জন, এক্স-রের মাধ্যমে ১৩ জনকে শনাক্ত করা হয়।

ফুসফুসের বাইরে আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের চেয়ে ১৭ জন বেশী। যক্ষ্মার ঝুঁকি প্রবণ চা-বাগানগুলোতে মানুষ সচেতন না হওয়ায় এ রোগ আরো বাড়ছে। এসব এলাকার রোগীদের সচেতন করতে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা উদ্যোগ নিয়েছে।

চা-বাগানগুলোতে যক্ষ্মা নির্মূলে ইউএসআইডি চ্যালেঞ্জ টিবি বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা হীড বাংলাদেশ। এসব এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে তারা বিভিন্ন কার্মসূচি হাতে নিয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বর্ণালী দাস পূর্বপশ্চিমবিডিকে জানান, বাগানগুলোতে যক্ষ্মা রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সাধারণত এ রোগ ছড়ায়। এসব এলাকার মানুষকে সচেতন করা গেলে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমে আসবে।