প্রথম বারের মতো বাংলাদেশের সাথে মিল রেখে একুশের প্রথম প্রহরে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ভাস্কর্যে’ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ভাষাপ্রেমীরা ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন।
এ সময় নিউইয়র্ক স্টেটের গভর্নর এন্ড্রু কোমোর পক্ষে তার দফতরের প্রতিনিধিরা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ভাষা শহীদদের স্মরণ করে স্টেটের পক্ষে এ স্বীকৃতি দেন। ইউনেস্কো ও জাতিসংঘের স্বীকৃতির পর নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নর স্বীকৃতি দেন।
নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় ভর-দুপুরে বিভিন্ন বয়স, ভাষা ও বর্ণের মানুষের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনে শহীদের শ্রদ্ধা প্রদর্শনের এ ঘটনা দেখে অনেক ভিনদেশী পথচারী আশপাশে জড়ো হন।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় প্রতিবারের মতো মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে জাতিসংঘের সামনে অস্থায়ী শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কে ভাষা শহীদ দিবস পালিত হয়। মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মিশনরে স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আবদুল মোমেন এবং উত্তর আমেরিকার সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ নেন।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এতে বাংলাদেশ মিশনসহ বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। সবার কণ্ঠে দাবি উঠে নিউইয়র্ক তথা জাতিসংঘের সামনে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের।
বরাবরের মতো এবারও অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ মিশন ও কনসুলেট এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে শ্রদ্ধা জানানো হয় ভাষা শহীদদের।
গর্ব আর শোকের এই দিনটি রোববার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করবে জাতি, যার সূচনা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর