প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেছেন, আমাদের সংবাদমাধ্যম ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করছে। তবে সংবাদমাধ্যম কোনো বিজনেস না। এখানে যারা কাজ করেন, তাদের এটি পেশা।
বুধবার সুপ্রিমকোর্ট বার মিলনায়তনে প্রয়াত ব্যারিস্টার শওকত আলী খানের স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ডের দুটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সে দেশের সংবাদমাধ্যম নৈতিকতার কথা বিবেচনা করে অনেক কিছু প্রকাশ করেন না। কিন্তু আমার দেশের সংবাদমাধ্যম বিচার বিভাগের মান ক্ষুণ্ণ করতে পিছপা হয় না।
তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমে বিচার বিভাগের ভালো দিক তুলে ধরা উচিত। আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যম নিয়ে আমার খুব কষ্ট লাগে। আজকে যদি আমরা সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে কনটেমপ্ট করি তাহলে এতো মামলা দেখবো কীভাবে?
আইনজীবীসহ সবাইকে আনুরোধ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সবাইকে বিচার বিভাগকে মানতে হবে। বিচার বিভাগের মান যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে এ জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মজুমদার।
বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিঞা, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এএফ হাসান আরিফ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, শ ম রেজাইল করিম।
স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন দেশীয় সংস্কৃতির সভাপতি অ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ চন্দ্র কর, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তারাসহ শতাধিক আইনজীবী।
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেন, শওকত আলীর সঙ্গে আমরা খুব ক্লোজ ছিলাম। প্রতিদিন শওকত আলী খান আমার সিনিয়রের সঙ্গে দেখা করে যেতেন।
তিনি বলেন, আমরা যারা উপস্থিত হয়েছি, তারা সবাই একই পরিবারের লোক। আপনারা শুনেছেন, শওকত আলী রাজনীতি করতেন। কিন্তু তিনি নৈতিকতাবিরোধী কাজ করেননি। কিন্তু এ প্রফেশনের অনেক কিছুই আমরা হারিয়ে ফেলছি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা বিচার বিভাগে কোনো পক্ষপাতিত্ব করি না। বিচার বিভাগ নিয়ে অনেক রাজনীতিবিদ কথা বলেন, যা ঠিক নয়।