নন্দীগ্রামে ‘গোলাকার সোনা’ এখন কৃষকের ঘরে-মাঠে-হাটে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে ঘরে-বাইরে-হাটে-মাঠে-ঘাটে বিক্রি হচ্ছে আলু। এ আলু এখন কৃষকের কাছে যেন সোনা! এখন উপজেলার সবত্রই চলছে আলু তোলার ধুম। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর ৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে।

জানা গেছে, বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকেরা আশায় বুক বেঁধেছেন। উপজেলার কাথম, চাকলমা, সিংজানি, ভাটগ্রাম, তেঘর, রিধইল, বীরপলি, ধুন্দারসহ বিভিন্ন গ্রামের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে এখন আলু তোলার কর্মযজ্ঞ চলছে। অনেক চাষি ইতিমধ্যেই আলু তুলে ফেলেছেন। আবার অনেকে আলুর গাছগুলোকে টেনে তুলে ফেলছেন। সারি সারি আলু তোলার পর বস্তাবন্দি করা থেকে শুরু করে কোল্ডস্টোরেজ কিংবা বাজারজাত করতে আলু চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাড়ি বাড়ি, মাঠে মাঠে গোল সোনার আলুর স্তুপ। তাই কৃষকের চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক। কয়েক সপ্তাহ ধরে উপজেলাজুড়ে আলু তোলার উৎসব শুরু হয়েছে। বাম্পার ফলন তো রয়েছেই, তার সঙ্গে আলুর দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।

উপজেলার বীরপলি গ্রামের আলুচাষি রুহুল আমিন জানান, তিনি এবার ১০০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় ১২৫ মণ করে আলুর ফলন হয়েছ। ইতিমধ্যেই তিনি আলুর গাছ তুলে ফেলেছেন। আর কয়েক দিনের মধ্যেই আলু তোলা শেষ হবে। তিনি আলুগুলো বস্তাবন্দি করে কোল্ডস্টোরেজে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ভাটগ্রামের আলুচাষি আক্কাছ আলী জানান, এবার একেকটি আলু বেশ বড় আকারে হয়েছে। কোনো পোকা-মাকড়ের বালাই নেই। সোনালী রং ধরেছে আলুতে। দাম ভালো পাওয়ায় মাঠের আলু মাঠেই বিক্রি করছেন তিনি। জমি থেকেই ডায়মন্ড আলু প্রতিমণ ৪৭০ টাকা, পাকরি আলু প্রতিমণ ৬২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তাদের মতো অনেক কৃষক জমিতেই পাইকারদের কাছে আলু বিক্রি করেছেন। পাইকাররা বিঘাপ্রতি দাম ধরে আলু কিনে নিয়েছেন। বিভিন্ন কোল্ডস্টোরেজগুলোতে আলু সংরক্ষণের বুকিং চলছে। সেখানে বড় বড় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই বুকিং দিয়ে রেখেছেন।

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আদনান বাবু জানান, এবার আবহাওয়া ভালো ছিল। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়েছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ বছর আলুর ক্ষেতকে রোগ বালাইমুক্ত রাখতে পেরেছেন কৃষক। এই উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর