হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশে অনেকে শখের বসে আবার কেউবা বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি ফলের চাষাবাদ শুরু করেন। কিন্তু কিশোরগঞ্জে ও হাওরের বিদেশি ফল রক মেলন চাষ শুরু হয়নি তরুণ কৃষি উদ্যোক্তারা চাষ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আর পরীক্ষায় সফলতা পেলে পুরোদমে শুরু করেন বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ।
কিশোরগঞ্জে কৃষি বিভাগের জানাই , এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া রকমেলন ফল চাষের জন্য খুবই উর্বর এবং উপযোগী পরিবেশ। প্রথমবারের পরীক্ষায়ই এ ফলটি সফলতার মুখ দেখেছে। তাই এ অঞ্চলের কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ফলটির বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু করা যেতে পারে।
অবশ্য কিছু কিছু ফল স্থানীয় বাজারগুলোতে চাহিদা থাকায় কৃককরা এ ফলগুলো এখনও আগ্রহ নিয়ে চাষাবাদ করছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মাল্টা, রামবুটান ও ড্রাগন। এখন কৃষি বিভাগের আশা, কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ আর বাজারজাত সহজীকরণ করতে পারলে রকমেলন ফলটি চাষেও কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
কিশোরগঞ্জে সফল উদ্যোক্তা মনোয়ার হোসাইন রনি বলেন, ‘আমার এক বিদেশি বন্ধুর মাধ্যমে রকমেলনের কিছু বিজ সংগ্রহ করি। পরে স্থানীয় কয়েকজন কৃষকের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে বপন করি এবং সফলতাও পাই। এর থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, এ এলাকার মাটি রকমেলন চাষে উপযোগী। এখানে এ ফলটি চাষাবাদ করা যেতে পারে।
তিনি জানান, একটি গাছে চারা থেকে পাঁচ ফলের বেশি ফল রাখলে ফলের মান ভালো হয় না। ফলের আকার
পরিপূর্ণ হলে সেচ কমিয়ে দিতে হবে। না হলে মিষ্টতা কমে যেতে পারে। সারাদিনে অন্তত ছয় থেকে আট ঘণ্টা রোদের ব্যবস্থা করতে হবে।
পবিত্র রমজানের আগে এ চাষ করলে কৃষি উদ্যোক্তা সফলতা পাবে ইনশাল্লাহ রক মেলন এর বীজ ও চাষাবাদ পদ্ধতি আমাদের জানা আছে।