ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
২০০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের ক্ষয়ক্ষতি কাতারের আমিরের প্রতি তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা তামিম-হেলসের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ভিন্নমত বিএনপিসহ বেশির ভাগ দলের ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ

প্রতিবন্ধী ছেলের কাঁধে লাঙল দিয়ে চাষ, কৃষক পেলেন পাওয়ার টিলার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০
  • ২১০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গরুর বদলে প্রতিবন্ধী ছেলের কাঁধে লাঙল দিয়ে জমি চাষ করা সেই কৃষক পেলেন পাওয়ার টিলার। ‘টিম পজিটিভ বাংলাদেশ’ এর পক্ষ থেকে বিনামূল্যে একটি পাওয়ার টিলার দেয়া হয়েছে।

ওই অসহায় কৃষক হলেন মনির উদ্দিন। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার নূরুল্যাবাদ ইউনিয়নের পার-নূরুল্যাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নূরল্যাবাদ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কারিগরি কলেজ মাঠে এসিআই কোম্পানির পাওয়ার টিলারটি তাকে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দরিদ্র কৃষক মনির উদ্দিনের সংসারে কোনো অভাব ছিল না। ছিল ফসলি জমি ও হালের বলদ। তা দিয়ে সুখেই কেটে যেত তার সংসার। কিন্তু বছর বছর নদী ভাঙনের ফলে সামান্য ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এখন বসতবাড়ি ও ফসলিসহ তার মোট জমির পরিমাণ ২৫ শতাংশ। এরমধ্যে আবাদি জমি প্রায় ১৫ শতাংশ। এ সামান্য পরিমাণ জমিতে তিনি সারা বছরই আবাদ করতেন। এছাড়া সরকারি প্রণোদনা থেকেও বঞ্চিত ছিলেন তিনি।

নদী ভাঙন ও ঋণে জর্জরিত হয়ে প্রায় এক যুগ আগে হালের বলদ বিক্রি করতে বাধ্য হন কৃষক মনির উদ্দিন। এরপর বলদের দায়িত্ব পড়েছে প্রতিবন্ধী ছেলে মোখলেছুর রহমানের ঘাড়ে। অভাবের তাড়নায় বাইরে থেকে বেশি দাম দিয়ে হালচাষ করার মতো তাদের সামর্থ্য ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে ছেলে মোখলেছুর রহমান লাঙলের মাথায় ও কাঁধে দড়ি বেঁধে টানতেন, আর বৃদ্ধ বাবা মনির উদ্দিন হালের মুঠো ধরে থাকতেন। গরুর বদলে নিজেরাই কষ্ট করে সামান্য এ জমিতে চাষাবাদ করতেন। এভাবেই কেটে গেছে প্রায় একযুগ।

তাদের এ কষ্টের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। এছাড়া দরিদ্র কৃষক মনির উদ্দিনের দিকে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

২০০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের ক্ষয়ক্ষতি

প্রতিবন্ধী ছেলের কাঁধে লাঙল দিয়ে চাষ, কৃষক পেলেন পাওয়ার টিলার

আপডেট টাইম : ১১:৩১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গরুর বদলে প্রতিবন্ধী ছেলের কাঁধে লাঙল দিয়ে জমি চাষ করা সেই কৃষক পেলেন পাওয়ার টিলার। ‘টিম পজিটিভ বাংলাদেশ’ এর পক্ষ থেকে বিনামূল্যে একটি পাওয়ার টিলার দেয়া হয়েছে।

ওই অসহায় কৃষক হলেন মনির উদ্দিন। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার নূরুল্যাবাদ ইউনিয়নের পার-নূরুল্যাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নূরল্যাবাদ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কারিগরি কলেজ মাঠে এসিআই কোম্পানির পাওয়ার টিলারটি তাকে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দরিদ্র কৃষক মনির উদ্দিনের সংসারে কোনো অভাব ছিল না। ছিল ফসলি জমি ও হালের বলদ। তা দিয়ে সুখেই কেটে যেত তার সংসার। কিন্তু বছর বছর নদী ভাঙনের ফলে সামান্য ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এখন বসতবাড়ি ও ফসলিসহ তার মোট জমির পরিমাণ ২৫ শতাংশ। এরমধ্যে আবাদি জমি প্রায় ১৫ শতাংশ। এ সামান্য পরিমাণ জমিতে তিনি সারা বছরই আবাদ করতেন। এছাড়া সরকারি প্রণোদনা থেকেও বঞ্চিত ছিলেন তিনি।

নদী ভাঙন ও ঋণে জর্জরিত হয়ে প্রায় এক যুগ আগে হালের বলদ বিক্রি করতে বাধ্য হন কৃষক মনির উদ্দিন। এরপর বলদের দায়িত্ব পড়েছে প্রতিবন্ধী ছেলে মোখলেছুর রহমানের ঘাড়ে। অভাবের তাড়নায় বাইরে থেকে বেশি দাম দিয়ে হালচাষ করার মতো তাদের সামর্থ্য ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে ছেলে মোখলেছুর রহমান লাঙলের মাথায় ও কাঁধে দড়ি বেঁধে টানতেন, আর বৃদ্ধ বাবা মনির উদ্দিন হালের মুঠো ধরে থাকতেন। গরুর বদলে নিজেরাই কষ্ট করে সামান্য এ জমিতে চাষাবাদ করতেন। এভাবেই কেটে গেছে প্রায় একযুগ।

তাদের এ কষ্টের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। এছাড়া দরিদ্র কৃষক মনির উদ্দিনের দিকে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।