ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ ‘রাজা’ হলে প্রধামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত : গয়েশ্বর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৬
  • ২৭৮ বার

পুলিশ দেশের ‘রাজা’ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, সিটি করপোরশনের এক কর্মকর্তাকে পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে বলেছে, মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে আমি শেখ হাসিনাকে বলব, আজই আপনি পদত্যাগ করুন। পুলিশ যদি দেশের রাজা হয় তাহলে আপনি কে?

শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে ঢাকা মহানগর বিএনপির যৌথসভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তার পর ডিএনসিসির এক কর্মকর্তা পুলিশের হাতে নিগৃহীত হন। শুক্রবার ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র সাহাকে মারধরের পর এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘মাছের রাজা ইলিশ, দেশের রাজা পুলিশ।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে কোনো বৈধ সরকার নেই। বিএনপি বিরোধী দল নয়, একটি রাজনৈতিক দল। এ কারণে বিএনপিকে বিরোধী দল বলব না। নির্বাচিত সরকার থাকলে একটি বিরোধী দল থাকতে পারে। বর্তমানে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে যে বিরোধী দল আছে, সেটা বিরোধী দল নয়। সেটা সরকারেরই অংশ।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসকে কারাগারে নেয়া হলেও নেতাকর্মীদের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ঘরে বসে জেলের তালা ভাঙা যায় না। জেলের তালা ভাঙতে হলে সময়মতো যথাস্থানে থাকতে হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্যের অভাব আছে। যেকোনো সফলতার পূর্বশর্ত হচ্ছে ঐক্য। কিন্তু আমাদের মধ্যে ইউনিটির অভাব আছে, এটা মুখে না বললেও আমরা বুঝি। ঐক্যবদ্ধ থাকলে সব কাজ করা যাবে।

যৌথসভায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। এর মধ্যে ১৮ জানুয়ারি জিয়াউর রহমানের জন্মদিনের আলোচনা সভা, ১৯ জানুয়ারি জিয়ার মাজারে ফাতেহা পাঠ। ২০ জানুয়ারি মির্জা আব্বাসসহ সব নেতাকে জেলে রাখার প্রতিবাদে সভা।

যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী আবুল বাশার।

বক্তব্য রাখেন বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ।

সভায় ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মহানগরের থানা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়করা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশ ‘রাজা’ হলে প্রধামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত : গয়েশ্বর

আপডেট টাইম : ১১:৪৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৬

পুলিশ দেশের ‘রাজা’ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, সিটি করপোরশনের এক কর্মকর্তাকে পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে বলেছে, মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে আমি শেখ হাসিনাকে বলব, আজই আপনি পদত্যাগ করুন। পুলিশ যদি দেশের রাজা হয় তাহলে আপনি কে?

শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে ঢাকা মহানগর বিএনপির যৌথসভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তার পর ডিএনসিসির এক কর্মকর্তা পুলিশের হাতে নিগৃহীত হন। শুক্রবার ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র সাহাকে মারধরের পর এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘মাছের রাজা ইলিশ, দেশের রাজা পুলিশ।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে কোনো বৈধ সরকার নেই। বিএনপি বিরোধী দল নয়, একটি রাজনৈতিক দল। এ কারণে বিএনপিকে বিরোধী দল বলব না। নির্বাচিত সরকার থাকলে একটি বিরোধী দল থাকতে পারে। বর্তমানে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে যে বিরোধী দল আছে, সেটা বিরোধী দল নয়। সেটা সরকারেরই অংশ।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসকে কারাগারে নেয়া হলেও নেতাকর্মীদের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ঘরে বসে জেলের তালা ভাঙা যায় না। জেলের তালা ভাঙতে হলে সময়মতো যথাস্থানে থাকতে হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্যের অভাব আছে। যেকোনো সফলতার পূর্বশর্ত হচ্ছে ঐক্য। কিন্তু আমাদের মধ্যে ইউনিটির অভাব আছে, এটা মুখে না বললেও আমরা বুঝি। ঐক্যবদ্ধ থাকলে সব কাজ করা যাবে।

যৌথসভায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। এর মধ্যে ১৮ জানুয়ারি জিয়াউর রহমানের জন্মদিনের আলোচনা সভা, ১৯ জানুয়ারি জিয়ার মাজারে ফাতেহা পাঠ। ২০ জানুয়ারি মির্জা আব্বাসসহ সব নেতাকে জেলে রাখার প্রতিবাদে সভা।

যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী আবুল বাশার।

বক্তব্য রাখেন বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ।

সভায় ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মহানগরের থানা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়করা উপস্থিত ছিলেন।