কারাগারে অবৈধ জিনিসের আদান-প্রদান করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু । এমনকি মদ চাইলেও মদ পাওয়া যায়। শুধু পুরুষ বন্দির সঙ্গে মেয়ে, আর মেয়ে বন্দির সঙ্গে পুরুষ সাপ্লাই দেয়া ছাড়া কারাগারে সব কিছু করা যায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে (পিআইবি) কারা কর্মকর্তাদের গণমাধ্যম বিষয়ক কর্মশালা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কর্মশালায় অংশ নেয়া বিভিন্ন জেলার জেল সুপারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি বরিশালে থাকাকালে ডাব সাপ্লাইয়ের নাম করে মদ সাপ্লাই দেয়া দেখেছি। এমনকি এখন কারাগারে মোবাইল দিয়েও চাঁদাবাজি করা হয়। আর এসবের দায় কিন্তু আপনাদের।’
ইনু বলেন, ‘কারাগার পৃথিবীর সভ্যতার শুরু থেকেই গণতন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। সাধারণ মানুষ কারাগার সম্পর্কে খারাপ ধারণা করে। আর তথ্যের অবাধ প্রবাহ না থাকায় ভুল ধারণা থেকেই যায়।’
তিনি বলেন, ‘বাইরের মানুষ মনে করে কারা কর্তৃপক্ষরা দানবীয়। তারা কয়েদির সঙ্গে সব সময় দানবীয় আচরণ করে। যদি মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আপনাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানান, তাহলে সাধারণ মানুষ আর এসব ধারণা করবে না।’
কারা কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মৌখিক নির্দেশে কারাগার চালালে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আপানারা যদি এ রকম করে থাকেন, তাহলে এটা ঠিক না। পরে গিয়ে স্থানীয় এমপি বা স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাকে জনগণ ধরবে না। দিনশেষে তা প্রধানমন্ত্রীর ওপরই পড়বে। অথচ প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।’
কারা কর্তৃপক্ষকে ৩ মাস পরপর অন্তত একবার করে হলেও স্বেচ্ছায় প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
ইনু বলেন, ‘৩০,০০০ লোক থাকতে পারে এমন জায়গায় ৭৫,০০০ মানুষকে কীভাবে পরিচর্যা করছেন, কীভাবে চালাচ্ছেন তা জনগণকে অবহিত করুন।’
তিনি বলেন, ‘পাপকে ঘৃণা কর, পাপীকে নয়। তারা অপরাধী হলেও তাদের একটা মানবিক গুণাবলি আছে। কারাগার হলো শোধনাগার।’
পিআইবির মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কারা প্রিজন সেলের আইজিপি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএসএম মাহবুবুল আলম, পিআইবির প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।