আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘স্বাধীনতার এত বছর পরেও রাজাকাররা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’
তিনি রোববার সকালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ৭১ এ পাকিস্তানিদের পরাজিত করেছি। আমরা কখনো পরাজিত হই নাই। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে থাকবে; তা পাকিস্তানিরা কখনো ভাবতে পারেনি। ৪০ বছর ধরে ষড়যন্ত্র করে তারা পারে নাই। এখনো পারবে না।’
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কড়া সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘যে দিন থেকে যুদ্ধাপরাধীদের আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে, সেদিন থেকে মূলত তিনি (খালেদা জিয়া) আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করা এবং যেটা পাকিস্তানিরা চায়, এই দেশকে আবার সেই খাতে প্রবাহিত করতে।’
আমু বলেন, ‘বাংলাদেশে পাকিস্তানের এক কূটনীতিকের জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতায় জড়িত থাকা খুবই স্বাভাবিক। একাত্তরে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে সেদিন যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারা এখনো তা মেনে নিতে পারেনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চক্রান্ত থেকে শুরু করে সব ধরনের চক্রান্ত চলছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ১৯ বার প্রাণনাশের চেষ্টা হয়েছে। বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। সে চেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে।’
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ আদর্শ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। কেউ এজেন্ট হিসেবে যুদ্ধ করেছে, এটাই বাস্তবতা।’
এর আগে সকাল সাতটায় প্রথমে সরকার প্রধান ও পরে দলীয় সভানেত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, এইচ টি ইমাম, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।