ঢাকা ১২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নামাজে রাকাত ছুটে গেলে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০১৫
  • ৫৩০ বার
মুসলমানের অপরিহার্য আমল নামাজে ভুল করেন কেউ কেউ। জামাতে বা একাকি নামাজ আদায়ের পূর্ণাঙ্গ নিয়ম জানা নেই সবার। মসজিদে আসা সাধারণ মুসল্লিদের নামাজে অসঙ্গতি দেখা যায় নিত্যদিন। নামাজের শুরুতেই অংশগ্রহণ করতে না পারলে, রুকু, সেজদা বা তাশাহহুদ (প্রথম/শেষ বৈঠক)-এ এসে হাজির হয়ে বিব্র্র্র্রতকর অবস্থায় পড়তে দেখা যায় অনেক মুসল্লিকে। ছোট্ট কিছু নিয়ম জানলে বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচা খুব সহজ। আজকে আমরা জানব পরে এসে জামাতে অংশগ্রহণকারীর বিধান সম্পর্কে। নামাজের শুরুতে ইমামের সঙ্গে ছিল না, এক বা একাধিক রাকাত আদায়ের পর এসে সম্পৃক্ত হয়েছে এমন মুসল্লিকে ‘মাসবুক’ বলে।
জামাত শুরু হয়ে ঈমাম কেরাত পড়া শুরু করেছেন এ সময় আগত মুসল্লি নিয়ত করে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে জামাতে শরিক হবেন। ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজের ক্ষেত্রে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকবেন। জোহর ও আসরের নামাজের ক্ষেত্রে কেবল ‘সানা’ (সুবহানাকাল্লাহুম্মা…) পড়বেন এবং ইমামের আনুগত্য করবেন। ইমাম রুকুতে থাকাকালীন আগত মুসল্লি সোজা দাঁড়িয়ে নিয়ত করে আল্লাহু আকবর বলে নামাজে সম্পৃক্ত হবেন এবং আরেকটি তাকবির (আল্লাহু আকবর) বলে দ্রুত রুকুতে চলে যাবেন। তবে রুকুতে যেতে দেরি হলে অর্থাৎ রুকুতে যেতে যেতে ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে দেরির মুসল্লি ইমামের সঙ্গে সিজদা করবেন ঠিক, তবে তাকে ওই রাকাতটি আবার আদায় করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে ইমাম রুকু শেষ করে সিজদায় গেলে, পরে এসে কেউ কেউ একাকি রুকু আদায় করে ইমামের সঙ্গে সিজদায় সম্পৃক্ত হয়ে মনে করেন রাকাত পেয়ে গেছেন। পরে ওই রাকাত আদায় করেন না। এতে ওই ব্যক্তির নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। কারণ ইমামের সঙ্গে রুকু না পেলে রাকাত পাওয়া হয় না। ইমাম প্রথম বা শেষ রাকাতে থাকাকালীন এসে সম্পৃক্ত হলে, মুসল্লি সোজা দাঁড়ানো অবস্থায় ‘তাকবির’ বলে নামাজে সম্পৃক্ত হয়ে আরেক তাকবির বলে বৈঠকে যাবেন এবং তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু…) পড়বেন। প্রথম বৈঠকের (৩-৪ রাকাতবিশিষ্ট নামাজে) ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে মুসল্লি তাশাহহুদ শেষ করে দাঁড়াবেন। শেষ বৈঠকে ইমাম দু’দিকে সালাম ফেরানোর পর দেরির মুসল্লি দাঁড়াবেন এবং অসম্পূর্ণ নামাজ সম্পূর্ণ করবেন। ছুটে যাওয়া নামাজ এক বা দু’রাকাত হলে একাকি আদায়ের সময় দু’রাকাতেই কেরাত অর্থাৎ সূরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা পড়তে হবে। দু’রাকাতের অধিক রাকাতের ক্ষেত্রে কেবল সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নামাজে রাকাত ছুটে গেলে

আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০১৫
মুসলমানের অপরিহার্য আমল নামাজে ভুল করেন কেউ কেউ। জামাতে বা একাকি নামাজ আদায়ের পূর্ণাঙ্গ নিয়ম জানা নেই সবার। মসজিদে আসা সাধারণ মুসল্লিদের নামাজে অসঙ্গতি দেখা যায় নিত্যদিন। নামাজের শুরুতেই অংশগ্রহণ করতে না পারলে, রুকু, সেজদা বা তাশাহহুদ (প্রথম/শেষ বৈঠক)-এ এসে হাজির হয়ে বিব্র্র্র্রতকর অবস্থায় পড়তে দেখা যায় অনেক মুসল্লিকে। ছোট্ট কিছু নিয়ম জানলে বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচা খুব সহজ। আজকে আমরা জানব পরে এসে জামাতে অংশগ্রহণকারীর বিধান সম্পর্কে। নামাজের শুরুতে ইমামের সঙ্গে ছিল না, এক বা একাধিক রাকাত আদায়ের পর এসে সম্পৃক্ত হয়েছে এমন মুসল্লিকে ‘মাসবুক’ বলে।
জামাত শুরু হয়ে ঈমাম কেরাত পড়া শুরু করেছেন এ সময় আগত মুসল্লি নিয়ত করে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে জামাতে শরিক হবেন। ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজের ক্ষেত্রে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকবেন। জোহর ও আসরের নামাজের ক্ষেত্রে কেবল ‘সানা’ (সুবহানাকাল্লাহুম্মা…) পড়বেন এবং ইমামের আনুগত্য করবেন। ইমাম রুকুতে থাকাকালীন আগত মুসল্লি সোজা দাঁড়িয়ে নিয়ত করে আল্লাহু আকবর বলে নামাজে সম্পৃক্ত হবেন এবং আরেকটি তাকবির (আল্লাহু আকবর) বলে দ্রুত রুকুতে চলে যাবেন। তবে রুকুতে যেতে দেরি হলে অর্থাৎ রুকুতে যেতে যেতে ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে দেরির মুসল্লি ইমামের সঙ্গে সিজদা করবেন ঠিক, তবে তাকে ওই রাকাতটি আবার আদায় করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে ইমাম রুকু শেষ করে সিজদায় গেলে, পরে এসে কেউ কেউ একাকি রুকু আদায় করে ইমামের সঙ্গে সিজদায় সম্পৃক্ত হয়ে মনে করেন রাকাত পেয়ে গেছেন। পরে ওই রাকাত আদায় করেন না। এতে ওই ব্যক্তির নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। কারণ ইমামের সঙ্গে রুকু না পেলে রাকাত পাওয়া হয় না। ইমাম প্রথম বা শেষ রাকাতে থাকাকালীন এসে সম্পৃক্ত হলে, মুসল্লি সোজা দাঁড়ানো অবস্থায় ‘তাকবির’ বলে নামাজে সম্পৃক্ত হয়ে আরেক তাকবির বলে বৈঠকে যাবেন এবং তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু…) পড়বেন। প্রথম বৈঠকের (৩-৪ রাকাতবিশিষ্ট নামাজে) ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে মুসল্লি তাশাহহুদ শেষ করে দাঁড়াবেন। শেষ বৈঠকে ইমাম দু’দিকে সালাম ফেরানোর পর দেরির মুসল্লি দাঁড়াবেন এবং অসম্পূর্ণ নামাজ সম্পূর্ণ করবেন। ছুটে যাওয়া নামাজ এক বা দু’রাকাত হলে একাকি আদায়ের সময় দু’রাকাতেই কেরাত অর্থাৎ সূরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা পড়তে হবে। দু’রাকাতের অধিক রাকাতের ক্ষেত্রে কেবল সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।