ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
অন্তবর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্ঠা মাহফুজ আলমকে পানির বোতল নিক্ষেপ করায়’ ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ শিগগিরই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে, যারা পেশাদার সাংবাদিক তারাই পাবেন’ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বাবার জন্য দোয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তাড়াতাড়ি দেশে ফিরবেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উপর বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট জেট ফুয়েলের মূল্য হ্রাসে কমবে উড়োজাহাজ ভাড়া আমার সোনার বাংলা’ যেভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হলো মাহফুজ ভাইয়ের সঙ্গে যা ঘটলো, তাতে হতাশ হয়েছি: আসিফ মাহমুদ আমি কখনই ক্রিকেট খেলা শিখিনি, এখন চেষ্টা করছি: তিশা মাদক-অপকর্মের আখড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আগেভাগেই ঢাকায় আসবেন হামজা

নামাজে রাকাত ছুটে গেলে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০১৫
  • ৫৭২ বার
মুসলমানের অপরিহার্য আমল নামাজে ভুল করেন কেউ কেউ। জামাতে বা একাকি নামাজ আদায়ের পূর্ণাঙ্গ নিয়ম জানা নেই সবার। মসজিদে আসা সাধারণ মুসল্লিদের নামাজে অসঙ্গতি দেখা যায় নিত্যদিন। নামাজের শুরুতেই অংশগ্রহণ করতে না পারলে, রুকু, সেজদা বা তাশাহহুদ (প্রথম/শেষ বৈঠক)-এ এসে হাজির হয়ে বিব্র্র্র্রতকর অবস্থায় পড়তে দেখা যায় অনেক মুসল্লিকে। ছোট্ট কিছু নিয়ম জানলে বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচা খুব সহজ। আজকে আমরা জানব পরে এসে জামাতে অংশগ্রহণকারীর বিধান সম্পর্কে। নামাজের শুরুতে ইমামের সঙ্গে ছিল না, এক বা একাধিক রাকাত আদায়ের পর এসে সম্পৃক্ত হয়েছে এমন মুসল্লিকে ‘মাসবুক’ বলে।
জামাত শুরু হয়ে ঈমাম কেরাত পড়া শুরু করেছেন এ সময় আগত মুসল্লি নিয়ত করে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে জামাতে শরিক হবেন। ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজের ক্ষেত্রে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকবেন। জোহর ও আসরের নামাজের ক্ষেত্রে কেবল ‘সানা’ (সুবহানাকাল্লাহুম্মা…) পড়বেন এবং ইমামের আনুগত্য করবেন। ইমাম রুকুতে থাকাকালীন আগত মুসল্লি সোজা দাঁড়িয়ে নিয়ত করে আল্লাহু আকবর বলে নামাজে সম্পৃক্ত হবেন এবং আরেকটি তাকবির (আল্লাহু আকবর) বলে দ্রুত রুকুতে চলে যাবেন। তবে রুকুতে যেতে দেরি হলে অর্থাৎ রুকুতে যেতে যেতে ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে দেরির মুসল্লি ইমামের সঙ্গে সিজদা করবেন ঠিক, তবে তাকে ওই রাকাতটি আবার আদায় করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে ইমাম রুকু শেষ করে সিজদায় গেলে, পরে এসে কেউ কেউ একাকি রুকু আদায় করে ইমামের সঙ্গে সিজদায় সম্পৃক্ত হয়ে মনে করেন রাকাত পেয়ে গেছেন। পরে ওই রাকাত আদায় করেন না। এতে ওই ব্যক্তির নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। কারণ ইমামের সঙ্গে রুকু না পেলে রাকাত পাওয়া হয় না। ইমাম প্রথম বা শেষ রাকাতে থাকাকালীন এসে সম্পৃক্ত হলে, মুসল্লি সোজা দাঁড়ানো অবস্থায় ‘তাকবির’ বলে নামাজে সম্পৃক্ত হয়ে আরেক তাকবির বলে বৈঠকে যাবেন এবং তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু…) পড়বেন। প্রথম বৈঠকের (৩-৪ রাকাতবিশিষ্ট নামাজে) ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে মুসল্লি তাশাহহুদ শেষ করে দাঁড়াবেন। শেষ বৈঠকে ইমাম দু’দিকে সালাম ফেরানোর পর দেরির মুসল্লি দাঁড়াবেন এবং অসম্পূর্ণ নামাজ সম্পূর্ণ করবেন। ছুটে যাওয়া নামাজ এক বা দু’রাকাত হলে একাকি আদায়ের সময় দু’রাকাতেই কেরাত অর্থাৎ সূরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা পড়তে হবে। দু’রাকাতের অধিক রাকাতের ক্ষেত্রে কেবল সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

অন্তবর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্ঠা মাহফুজ আলমকে পানির বোতল নিক্ষেপ করায়’ ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

নামাজে রাকাত ছুটে গেলে

আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০১৫
মুসলমানের অপরিহার্য আমল নামাজে ভুল করেন কেউ কেউ। জামাতে বা একাকি নামাজ আদায়ের পূর্ণাঙ্গ নিয়ম জানা নেই সবার। মসজিদে আসা সাধারণ মুসল্লিদের নামাজে অসঙ্গতি দেখা যায় নিত্যদিন। নামাজের শুরুতেই অংশগ্রহণ করতে না পারলে, রুকু, সেজদা বা তাশাহহুদ (প্রথম/শেষ বৈঠক)-এ এসে হাজির হয়ে বিব্র্র্র্রতকর অবস্থায় পড়তে দেখা যায় অনেক মুসল্লিকে। ছোট্ট কিছু নিয়ম জানলে বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচা খুব সহজ। আজকে আমরা জানব পরে এসে জামাতে অংশগ্রহণকারীর বিধান সম্পর্কে। নামাজের শুরুতে ইমামের সঙ্গে ছিল না, এক বা একাধিক রাকাত আদায়ের পর এসে সম্পৃক্ত হয়েছে এমন মুসল্লিকে ‘মাসবুক’ বলে।
জামাত শুরু হয়ে ঈমাম কেরাত পড়া শুরু করেছেন এ সময় আগত মুসল্লি নিয়ত করে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে জামাতে শরিক হবেন। ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজের ক্ষেত্রে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকবেন। জোহর ও আসরের নামাজের ক্ষেত্রে কেবল ‘সানা’ (সুবহানাকাল্লাহুম্মা…) পড়বেন এবং ইমামের আনুগত্য করবেন। ইমাম রুকুতে থাকাকালীন আগত মুসল্লি সোজা দাঁড়িয়ে নিয়ত করে আল্লাহু আকবর বলে নামাজে সম্পৃক্ত হবেন এবং আরেকটি তাকবির (আল্লাহু আকবর) বলে দ্রুত রুকুতে চলে যাবেন। তবে রুকুতে যেতে দেরি হলে অর্থাৎ রুকুতে যেতে যেতে ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে দেরির মুসল্লি ইমামের সঙ্গে সিজদা করবেন ঠিক, তবে তাকে ওই রাকাতটি আবার আদায় করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে ইমাম রুকু শেষ করে সিজদায় গেলে, পরে এসে কেউ কেউ একাকি রুকু আদায় করে ইমামের সঙ্গে সিজদায় সম্পৃক্ত হয়ে মনে করেন রাকাত পেয়ে গেছেন। পরে ওই রাকাত আদায় করেন না। এতে ওই ব্যক্তির নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। কারণ ইমামের সঙ্গে রুকু না পেলে রাকাত পাওয়া হয় না। ইমাম প্রথম বা শেষ রাকাতে থাকাকালীন এসে সম্পৃক্ত হলে, মুসল্লি সোজা দাঁড়ানো অবস্থায় ‘তাকবির’ বলে নামাজে সম্পৃক্ত হয়ে আরেক তাকবির বলে বৈঠকে যাবেন এবং তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু…) পড়বেন। প্রথম বৈঠকের (৩-৪ রাকাতবিশিষ্ট নামাজে) ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে মুসল্লি তাশাহহুদ শেষ করে দাঁড়াবেন। শেষ বৈঠকে ইমাম দু’দিকে সালাম ফেরানোর পর দেরির মুসল্লি দাঁড়াবেন এবং অসম্পূর্ণ নামাজ সম্পূর্ণ করবেন। ছুটে যাওয়া নামাজ এক বা দু’রাকাত হলে একাকি আদায়ের সময় দু’রাকাতেই কেরাত অর্থাৎ সূরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা পড়তে হবে। দু’রাকাতের অধিক রাকাতের ক্ষেত্রে কেবল সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।