কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মিথ্যা মামলায় জনসাধারণকে হয়রানীর অভিযোগ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে এক ইউপি সদস্যসহ নিরপরাদ লোকজনকে ফাসাঁনোর চেষ্টা ও হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হয়রানীর শিকার ইউপি সদস্যের নাম বিলাল মিয়া। তিনি উপজেলার আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের একজন জনপ্রতিনিধি। মামলার অন্য ৩ আসামী একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

অবিলম্বে সাজানো এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বুধবার দুপুরে আগানগর ইউপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে হয়রানী শিকার লোকজন।

সংবাদ সম্মেলনে হয়রানী শিকার ইউপি সদস্য বিলাল মিয়া বলেন, আগানগর ইউনিয়নের নবীপুরের বাসিন্দা শহীদ মিয়া পরিবারসহ গেল ১১ মার্চ সাড়ে এগারোটার দিকে সিএনজিযোগে তার এক মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। সিএনজি গাড়িটি তুলাকান্দি অতিক্রম করে চানপুর ভাঙ্গা নামক স্থানে পৌছলে, এক্সেল ভেঙ্গে গাড়িটি পাশের একটি গাছের সাথে সজোড়ে ধাক্কা খায়।

এতে শহীদ মিয়া গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠিয়ে দেন। সবশেষে ঢাকার মুগদা জেনারেল হাপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। প্রায় এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে গত ১৭ মার্চ রাতে তিনি মারা যায়।

কিন্তু পর দিন ১৮ মার্চ সমাজের কুচক্রি মহলের ইন্ধনে শহীদের ছোট ভাই বাদী হয়ে হয়রানীর উদ্দেশ্যে ভৈরব থানায় ইউপি সদস্যের বিল­াল মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে সাজানো একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

এ সময় ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুছা মিয়া বলেন, আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন শহীদ মিয়া। তিনি দিনে-দুপরে সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বিষয়টি এলাকার সবাই জানেন। আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোমতাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে ৯টি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যসহ সুশীল সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোমতাজ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে সড়ক দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। তারপরও সমাজের কুচক্রি মহলের ইন্ধনে শহীদের এক ভাই বাদী হয়ে সম্পূর্ণ সাজানো ও মিথ্যা মামলা দিয়ে ইউপি সদস্যসহ নিরপরাদ মানুষজনকে হয়রানীর চেষ্টা করছে।

এদিকে মামলার বাদী শহীদ মিয়ার ছোট ভাই আজগর মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আপোস-মীমাংসার জন্য আলাপ-আলোচনা চলছে।

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে চালকের অসাবধানতার কারণে সিএনজি গাড়িটি দূর্ঘটনার শিকার হওয়ার বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়াও লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে দূর্ঘটনা নাকি হত্যা তার প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর