ঢাকা ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

সিরাজগঞ্জে আগাম ক্ষিরা-শসার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • ১৮ বার

সিরাজগঞ্জের আগাম মৌসুমী ক্ষিরা ও শসার চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন তারা।

জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে এবার আগাম ক্ষিরা ও শসার আবাদ হয়েছে। চরাঞ্চল থেকে শুরু করে উঁচু জমিতেও ব্যাপক চাষ হয়েছে মৌসুমী এই ফসলের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই স্থানীয় হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে টাটকা ক্ষিরা ও শসা। পাইকারি ও খুচরা বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সরগরম উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। রমজান মাসে এই সবজির চাহিদা আরও বেড়ে গেছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে সিরাজগঞ্জের এই ক্ষিরা-শসা। বিশেষ করে জেলার তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুরের আড়তগুলোতে এখন ক্ষিরা-শসার স্তুপ দেখা যাচ্ছে। পাইকারি বাজারে প্রতি মণ ক্ষিরা ১১০০ থেকে ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকায়।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে ক্ষিরা-শসা চাষে খরচ হয় প্রায় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর সেই জমির ফলন বিক্রি করে আয় হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। এছাড়া, এ ফসলে রোগবালাই ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণও তুলনামূলক কম, ফলে কৃষকেরা ঝুঁকি কম নিয়ে ভালো লাভ করছেন।

জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার জানান, “এবার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় ৮০০ হেক্টর জমিতে আগাম মৌসুমী ক্ষিরা ও শসা চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। ফলন ভালো হয়েছে, দামও ভালো পাচ্ছেন, তাই কৃষকের মুখে হাসি।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে বজ্রপাতে নিহত ৩ আহত ১

সিরাজগঞ্জে আগাম ক্ষিরা-শসার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট টাইম : ১১:২৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

সিরাজগঞ্জের আগাম মৌসুমী ক্ষিরা ও শসার চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন তারা।

জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে এবার আগাম ক্ষিরা ও শসার আবাদ হয়েছে। চরাঞ্চল থেকে শুরু করে উঁচু জমিতেও ব্যাপক চাষ হয়েছে মৌসুমী এই ফসলের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই স্থানীয় হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে টাটকা ক্ষিরা ও শসা। পাইকারি ও খুচরা বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সরগরম উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। রমজান মাসে এই সবজির চাহিদা আরও বেড়ে গেছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে সিরাজগঞ্জের এই ক্ষিরা-শসা। বিশেষ করে জেলার তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুরের আড়তগুলোতে এখন ক্ষিরা-শসার স্তুপ দেখা যাচ্ছে। পাইকারি বাজারে প্রতি মণ ক্ষিরা ১১০০ থেকে ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকায়।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে ক্ষিরা-শসা চাষে খরচ হয় প্রায় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর সেই জমির ফলন বিক্রি করে আয় হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। এছাড়া, এ ফসলে রোগবালাই ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণও তুলনামূলক কম, ফলে কৃষকেরা ঝুঁকি কম নিয়ে ভালো লাভ করছেন।

জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার জানান, “এবার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় ৮০০ হেক্টর জমিতে আগাম মৌসুমী ক্ষিরা ও শসা চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। ফলন ভালো হয়েছে, দামও ভালো পাচ্ছেন, তাই কৃষকের মুখে হাসি।”