ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

শৈলকুপায় ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় আটক ২

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৪ বার

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা হানেফসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে র্যাব।

গতকাল সোমবার ঝিনাইদহ শহর ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে তাদের আটক করে র‍্যাব-১ এবং র্যাব-৬-এর সিপিসি-২, ঝিনাইদহ ক্যাম্প।

আটককৃতরা হলেন ঝিনাইদহের মো. আবু সাঈদ (৩৯) ও আনারুল ইসলাম রাজ (৩৬)।

র‍্যাব-৬-এর ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাইম এ তথ্য জানিয়েছেন।

র‍্যাব-৬-এর মিডিয়া বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে যেকোনো সময়ে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানাধীন ২ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শ্মশানঘাট এলাকার ক্যানেলের পাশে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণ গিয়ে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি পালসার মোটরসাইকেল, ২টি হেলমেট এবং গুলির কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি এমএল জনযুদ্ধ লাল পতাকার আঞ্চলিক প্রধান ও মৎস্যজীবী লীগ নেতা হানেফ উদ্দিন ওরফে হানেফ মন্ডল, তার শ্যালক লিটন মিয়া ও হানেফের দেহরক্ষী রাইসুল ইসলাম।

এ ঘটনায় নিহত হানেফের ভাই মো. সাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র‍্যাব-৬-এর ঝিনাইদহ ক্যাম্প মামলাটির ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি র‍্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহের একটি আভিযানিক দল ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন সার্কিট হাউস নিকটবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আসামি হরিনাকুণ্ডুর আবু সাঈদকে আটক করে। এরপর র‍্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহ এবং র‍্যাব-১, সিপিএসসি, গাজীপুরের যৌথ আভিযানিক দল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন সোনাতলা এলাকা হতে হরিনাকুণ্ডুর আনজেরের ছেলে আনারুল ইসলাম রাজকে আটক করে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, নিহত মো. হানেফ এবং তার ভাই মামলার বাদী মো. সাজেদুল ইসলাম ইশা হরিণাকুন্ডু উপজেলা মৎস্যজীবীদের পক্ষে নারায়ণকান্দী বাঁওড় গত ৫-৬ বছর ধরে সরকারের কাছ থেকে ইজারা গ্রহণপূর্বক মাছ চাষ করে আসছিল। উক্ত বাঁওড় নিয়ে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত এবং অন্যান্য জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল, জানালেন জামায়াত আমির

শৈলকুপায় ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় আটক ২

আপডেট টাইম : ০৭:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা হানেফসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে র্যাব।

গতকাল সোমবার ঝিনাইদহ শহর ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে তাদের আটক করে র‍্যাব-১ এবং র্যাব-৬-এর সিপিসি-২, ঝিনাইদহ ক্যাম্প।

আটককৃতরা হলেন ঝিনাইদহের মো. আবু সাঈদ (৩৯) ও আনারুল ইসলাম রাজ (৩৬)।

র‍্যাব-৬-এর ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাইম এ তথ্য জানিয়েছেন।

র‍্যাব-৬-এর মিডিয়া বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে যেকোনো সময়ে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানাধীন ২ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শ্মশানঘাট এলাকার ক্যানেলের পাশে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণ গিয়ে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি পালসার মোটরসাইকেল, ২টি হেলমেট এবং গুলির কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি এমএল জনযুদ্ধ লাল পতাকার আঞ্চলিক প্রধান ও মৎস্যজীবী লীগ নেতা হানেফ উদ্দিন ওরফে হানেফ মন্ডল, তার শ্যালক লিটন মিয়া ও হানেফের দেহরক্ষী রাইসুল ইসলাম।

এ ঘটনায় নিহত হানেফের ভাই মো. সাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র‍্যাব-৬-এর ঝিনাইদহ ক্যাম্প মামলাটির ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি র‍্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহের একটি আভিযানিক দল ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন সার্কিট হাউস নিকটবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আসামি হরিনাকুণ্ডুর আবু সাঈদকে আটক করে। এরপর র‍্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহ এবং র‍্যাব-১, সিপিএসসি, গাজীপুরের যৌথ আভিযানিক দল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন সোনাতলা এলাকা হতে হরিনাকুণ্ডুর আনজেরের ছেলে আনারুল ইসলাম রাজকে আটক করে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, নিহত মো. হানেফ এবং তার ভাই মামলার বাদী মো. সাজেদুল ইসলাম ইশা হরিণাকুন্ডু উপজেলা মৎস্যজীবীদের পক্ষে নারায়ণকান্দী বাঁওড় গত ৫-৬ বছর ধরে সরকারের কাছ থেকে ইজারা গ্রহণপূর্বক মাছ চাষ করে আসছিল। উক্ত বাঁওড় নিয়ে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত এবং অন্যান্য জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।