ঝিনাইদহে একটি বেওয়ারিশ অন্ধ ঘোড়া জবাই করে কে বা কারা মাংস নিয়ে গেছে। গতকাল রবিবার ঘোড়ার চামড়া পড়ে থাকার বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, প্রায় পাঁচ-ছয় মাস ধরে অন্ধ ঘোড়াটি বাজারে ঘুরে বেড়াতো। দিনের বেশির ভাগ সময় ঘোড়াটি হাটগোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে চরে বেড়াতো। কিন্তু শনিবার রাতে কে বা কারা ঘোড়াটি জবাই করে মাংস ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে।স্কুল মাঠে ঘোড়ার চামড়া, মাথা ও ভুঁড়ি পড়ে আছে।
ঘোড়াটি জবাই করে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে কেউ নিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন ওই ব্যবসায়ী।
হাটগোপালপুর বাজারের আরেক ব্যবসায়ী রইচ উদ্দিন জানান, রবিবার সকালে বাজারে এসে ঘোড়াটি কোথাও দেখতে না পেয়ে স্কুল মাঠে যান এবং সেখানেই ঘোড়ার মাথা, চামড়া ও ভুঁড়ি পড়ে থাকতে দেখেন। ঝিনাইদহের কোনো হাটে ঘোড়ার মাংস অন্য মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ঘোড়া জবাই করার বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছে।তবে ঘোড়ার মাংস মানুষের খাওয়ার উপযোগী নয়, এটা মুসলিমদের জন্য হারাম। কারণ, ঘোড়ার মাংসে মাত্রাতিরিক্ত অ্যাসিড থাকে। এটি খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
স্থানীয় হাটগোপালপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুস সাত্তার জানান, একটি চক্র রাতে ঘোড়াটি জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে।কাটা মাথা ও চামড়া ফেলে রেখে গেছে। ঘোড়ার মাংস বিক্রির আশঙ্কায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।