ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১ বার

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার সব আনুষ্ঠানিকতা। আজ রবিবার দুপুর ১২টা ৩৭ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ১টা ৭ মিনিটে। এ সময় বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে সৃষ্টিকর্তার কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজের জিম্মাদার মাওলানা সাদ সাহেবের বড় শাহজাদা মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজ মাওলানা সাদ অনুসারী মোহাম্মদ সায়েম।

এর আগে মওলানা ইউসুফ বিন সাদ সাহেব তাবলিগ জামাতের ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার লক্ষ্যে বেশি বেশি জামাত যেন আল্লাহর রাস্তায় বের হয়। ইজতেমায় বিশেষভাবে দ্বীনের দাওয়াতের গুরুত্ব ও ঈমান-আমল সংক্রান্ত কথা বলেন তিনি।

শেষ দিনের হেদায়েতি বয়ানে তাবলিগের ৬ উসুল- কালেমা, নামাজ, এলেম ও জিকির, ইকরামুল মুসলিমীন, ইখলাছে নিয়ত (সহিহ নিয়ত) এবং দাওয়াত ও তাবলীগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। যারা আল্লাহর রাস্তায় চিল্লায় যাবেন তারা কীভাবে মেহনত করবেন সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এ ছাড়া যারা ইজতেমা ময়দান থেকে নিজ বাড়ি বা এলাকায় ফিরবেন তাদেরকে তাবলিগের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়ে ‍গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে রবিবার ফজরের পর বয়ান করেন ভাই মোরসালিন সাহেব দিল্লি নিজামউদ্দিন, বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মুফতি আজিম উদ্দিন। এরপর সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে হেদায়েতের বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ, তা তরজমা করেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ।

এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রবিবার ভোর থেকেই লাখো লাখো মুসুল্লি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইজতেমা ময়দানে এসে উপস্থিত হন।

ইজতেমা শেষে মুসল্লিদের যাতায়াত সুবিধার জন্য আটটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগ।ট্রেনগুলো হচ্ছে- বনলতা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, সুবর্ণলতা,পর্যটক এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা এই পাঁচটি বিশেষ ট্রেন ছাড়াও এদিন টঙ্গী স্টেশনে সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি রাখা হয়েছে।

আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে নিরাপত্তা নজরদারি বাড়িয়েছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। যেকোনো ধরনের উদ্ভূত ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রায় ৭ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান।

তিনি আরও জানান, আখেরি মোনাজাত শেষে আগত মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে তাদের বাড়িতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে সে বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ বিশেষ নজর রাখছে।

এদিকে মুসল্লিদের নিরাপত্তা সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজের শীর্ষ মুরুব্বিরা। তারা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ গাজীপুর সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসসহ ইজতেমার কাজে নিয়োজিত সবাইকে ধন্যবাদ দেন।

উল্লেখ্য, ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব যা তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শূরায়ী নেজামের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। পরবর্তী সময়ে ৩,৪,৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা আখেরি মোনাজাতে শেষ হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা

আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার সব আনুষ্ঠানিকতা। আজ রবিবার দুপুর ১২টা ৩৭ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ১টা ৭ মিনিটে। এ সময় বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে সৃষ্টিকর্তার কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজের জিম্মাদার মাওলানা সাদ সাহেবের বড় শাহজাদা মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজ মাওলানা সাদ অনুসারী মোহাম্মদ সায়েম।

এর আগে মওলানা ইউসুফ বিন সাদ সাহেব তাবলিগ জামাতের ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার লক্ষ্যে বেশি বেশি জামাত যেন আল্লাহর রাস্তায় বের হয়। ইজতেমায় বিশেষভাবে দ্বীনের দাওয়াতের গুরুত্ব ও ঈমান-আমল সংক্রান্ত কথা বলেন তিনি।

শেষ দিনের হেদায়েতি বয়ানে তাবলিগের ৬ উসুল- কালেমা, নামাজ, এলেম ও জিকির, ইকরামুল মুসলিমীন, ইখলাছে নিয়ত (সহিহ নিয়ত) এবং দাওয়াত ও তাবলীগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। যারা আল্লাহর রাস্তায় চিল্লায় যাবেন তারা কীভাবে মেহনত করবেন সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এ ছাড়া যারা ইজতেমা ময়দান থেকে নিজ বাড়ি বা এলাকায় ফিরবেন তাদেরকে তাবলিগের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়ে ‍গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে রবিবার ফজরের পর বয়ান করেন ভাই মোরসালিন সাহেব দিল্লি নিজামউদ্দিন, বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মুফতি আজিম উদ্দিন। এরপর সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে হেদায়েতের বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ, তা তরজমা করেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ।

এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রবিবার ভোর থেকেই লাখো লাখো মুসুল্লি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইজতেমা ময়দানে এসে উপস্থিত হন।

ইজতেমা শেষে মুসল্লিদের যাতায়াত সুবিধার জন্য আটটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগ।ট্রেনগুলো হচ্ছে- বনলতা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, সুবর্ণলতা,পর্যটক এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা এই পাঁচটি বিশেষ ট্রেন ছাড়াও এদিন টঙ্গী স্টেশনে সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি রাখা হয়েছে।

আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে নিরাপত্তা নজরদারি বাড়িয়েছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। যেকোনো ধরনের উদ্ভূত ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রায় ৭ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান।

তিনি আরও জানান, আখেরি মোনাজাত শেষে আগত মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে তাদের বাড়িতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে সে বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ বিশেষ নজর রাখছে।

এদিকে মুসল্লিদের নিরাপত্তা সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজের শীর্ষ মুরুব্বিরা। তারা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ গাজীপুর সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসসহ ইজতেমার কাজে নিয়োজিত সবাইকে ধন্যবাদ দেন।

উল্লেখ্য, ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব যা তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শূরায়ী নেজামের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। পরবর্তী সময়ে ৩,৪,৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা আখেরি মোনাজাতে শেষ হয়।