ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
গোপালগঞ্জে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার সাহস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আছে: ফারুক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতবো, ভয়ের কারণ নেই: নাহিদ ইসলাম ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটনে জাতীয় ঐক্যের ফাটল মেরামত করুন : মুসলিম লীগ হাঁটুর বয়সী নায়কের সঙ্গে কারিনার প্রেম জালিয়াতি করলে আজীবনের জন্য মার্কিন ভিসা বাতিল সমাবেশকে কেন্দ্র করে যানজট-ভোগান্তির জন্য আগাম ক্ষমা চাইলো জামায়াত সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হাতিরঝিলে যান চলাচল বন্ধ ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিটের মূল্য, ক্রয়ের সময় ও নিয়ম– যা জানা দরকার

৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১০:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩২ বার

নাফ নদের মোহনায় মাছ ধরতে যাওয়া চার বাংলাদেশি মাঝিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি।আজ মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ উপজেলার শাহ পরীর দ্বীপের গেলারচর মুখ এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়।

জেলেরা হলেন টেকনাফ শাহ পরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মো. হাছান (৩০), আবদু রকিম (২০), মো. জাবের (২৬) ও মো. হাছান (১৬)।

টেকনাফ শাহ পরীর দ্বীপের দক্ষিণ নৌ-ঘাটের সভাপতি বশির আহমেদ বলেন, ‘ আজ সকালে প্রতিদিনের মতো নাফ নদে মাছ ধরতে গেলে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি নৌকাসহ তাদের ধরে নিয়ে যায়। এ সব ঘটনায় জেলে পল্লীদের মধ্য আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনটি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফ-২ বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করা নাফ নদ থেকে নৌকাসহ ৪ জেলেকে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। পাশাপাশি তাদের দ্রুত ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। ’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তাদের ফেরত আনতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’

এর আগে গত বছর ৬ অক্টোবর সকালে টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ জেটিঘাট থেকে ৬টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৫৮ জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। তাদের অপহরণ করে সে দেশের নৌবাহিনী। এ সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিড বোট থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে জেলেদের ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু তখন এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। এ ছাড়া গতবছরের ১৫ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইনে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে ফেরত এনেছিল বিজিবি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গোপালগঞ্জে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে

৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

আপডেট টাইম : ০৬:১০:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নাফ নদের মোহনায় মাছ ধরতে যাওয়া চার বাংলাদেশি মাঝিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি।আজ মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ উপজেলার শাহ পরীর দ্বীপের গেলারচর মুখ এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়।

জেলেরা হলেন টেকনাফ শাহ পরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মো. হাছান (৩০), আবদু রকিম (২০), মো. জাবের (২৬) ও মো. হাছান (১৬)।

টেকনাফ শাহ পরীর দ্বীপের দক্ষিণ নৌ-ঘাটের সভাপতি বশির আহমেদ বলেন, ‘ আজ সকালে প্রতিদিনের মতো নাফ নদে মাছ ধরতে গেলে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি নৌকাসহ তাদের ধরে নিয়ে যায়। এ সব ঘটনায় জেলে পল্লীদের মধ্য আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনটি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফ-২ বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করা নাফ নদ থেকে নৌকাসহ ৪ জেলেকে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। পাশাপাশি তাদের দ্রুত ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। ’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তাদের ফেরত আনতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’

এর আগে গত বছর ৬ অক্টোবর সকালে টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ জেটিঘাট থেকে ৬টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৫৮ জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। তাদের অপহরণ করে সে দেশের নৌবাহিনী। এ সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিড বোট থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে জেলেদের ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু তখন এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। এ ছাড়া গতবছরের ১৫ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইনে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে ফেরত এনেছিল বিজিবি।