ঢাকা ০৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুন্সীগঞ্জে আলু ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৫ বার

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় এখন আলু ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। দেশের অন্যতম বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত মুন্সীগঞ্জে আলু চাষ এবার বেড়ে ৮,৮৯০ হেক্টর জমিতে পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি।

সিরাজদিখানের প্রধান অর্থকরী ফসল আলু। তবে এ বছর জমি থেকে পানি নামতে দেরি হওয়ায় আগাম আলু চাষে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও গত দুই মৌসুমে ভালো ফলন ও লাভজনক বাজারদর পাওয়ায় কৃষকরা আরও উৎসাহ নিয়ে আলু চাষ করেছেন।

উপজেলার কংশপুরা গ্রামের কৃষক কোরবান আলী বলেন, “গত বছর আলু চাষ করে ভালো দাম পেয়েছি। এবার তাই ১০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। যদি ভালোভাবে পরিচর্যা করতে পারি, তাহলে ভালো ফলন পাব বলে আশা করছি।”

আলু রোপণের পর তা পরিপূর্ণ হতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে। এ বছর মার্চ মাসে আলু উত্তোলন শুরু হবে। তবে কৃষকদের একাংশ বাজারমূল্য নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন। বর্তমানে বীজ আলু কাটার পর অবশিষ্ট কাটা আলু ব্যবসায়ীরা বাড়ি থেকেই ১০-১৫ টাকা কেজি দরে কিনে নিচ্ছেন, যা তুলনামূলকভাবে কম।

সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ শুভ্র জানান, কৃষকদের জন্য সার্বক্ষণিক পরামর্শ সেবা চালু রয়েছে। এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় আলুতে বড় ধরনের রোগবালাই দেখা দেয়নি। তবে কিছু কিছু জমিতে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষকদের সাইমোক্সানিল গ্রুপের সাথে কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “গত বছর আলু চাষ হয়েছিল ৮,৭৫৫ হেক্টর জমিতে, যা এবার বেড়ে হয়েছে ৮,৮৯০ হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মুন্সীগঞ্জে আলু ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

আপডেট টাইম : ১০:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় এখন আলু ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। দেশের অন্যতম বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত মুন্সীগঞ্জে আলু চাষ এবার বেড়ে ৮,৮৯০ হেক্টর জমিতে পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি।

সিরাজদিখানের প্রধান অর্থকরী ফসল আলু। তবে এ বছর জমি থেকে পানি নামতে দেরি হওয়ায় আগাম আলু চাষে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও গত দুই মৌসুমে ভালো ফলন ও লাভজনক বাজারদর পাওয়ায় কৃষকরা আরও উৎসাহ নিয়ে আলু চাষ করেছেন।

উপজেলার কংশপুরা গ্রামের কৃষক কোরবান আলী বলেন, “গত বছর আলু চাষ করে ভালো দাম পেয়েছি। এবার তাই ১০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। যদি ভালোভাবে পরিচর্যা করতে পারি, তাহলে ভালো ফলন পাব বলে আশা করছি।”

আলু রোপণের পর তা পরিপূর্ণ হতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে। এ বছর মার্চ মাসে আলু উত্তোলন শুরু হবে। তবে কৃষকদের একাংশ বাজারমূল্য নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন। বর্তমানে বীজ আলু কাটার পর অবশিষ্ট কাটা আলু ব্যবসায়ীরা বাড়ি থেকেই ১০-১৫ টাকা কেজি দরে কিনে নিচ্ছেন, যা তুলনামূলকভাবে কম।

সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ শুভ্র জানান, কৃষকদের জন্য সার্বক্ষণিক পরামর্শ সেবা চালু রয়েছে। এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় আলুতে বড় ধরনের রোগবালাই দেখা দেয়নি। তবে কিছু কিছু জমিতে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষকদের সাইমোক্সানিল গ্রুপের সাথে কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “গত বছর আলু চাষ হয়েছিল ৮,৭৫৫ হেক্টর জমিতে, যা এবার বেড়ে হয়েছে ৮,৮৯০ হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি।”