ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিরিরবন্দরে মাদ্রাসা ছাত্রকে ‘মধ্যযুগীয় কায়দায়’ নির্যাতন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৪ বার

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ইয়াছিন আলী (১০) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। শাহ আলম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় চিরিরবন্দর আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের বৈদেশীর হাট এলাকায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিকভাবে গুরুতর আহত মাদ্রাসা ছাত্র ইয়াছিনকে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, অভিযুক্ত শাহ আলম বৈদেশীহাট পশ্চিমপাড়া নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাবা মো.সামিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলেকে বড় একজন আলেম হওয়ার জন্য উক্ত মাদ্রাসায় ভর্তি করাই। সে ভালোভাবে পড়াশোনাও করছে। দুই দিন আগে হুজুরের অনুমতি নিয়ে সাইকেল নিয়ে ছুটিতে বাড়ি আসে ইয়াসিন। একদিন দেরি করে মাদ্রাসায় আসায় তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন তিনি।’

চিরিরবন্দরে ৫০ শয্যা হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক বলেন, ‘রোগীর বাম চোখ, বাম হাত, বাম পা ও নাক ফেটে গেছে এবং শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চিরিরবন্দরে মাদ্রাসা ছাত্রকে ‘মধ্যযুগীয় কায়দায়’ নির্যাতন

আপডেট টাইম : ১০:২৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ইয়াছিন আলী (১০) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। শাহ আলম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় চিরিরবন্দর আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের বৈদেশীর হাট এলাকায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিকভাবে গুরুতর আহত মাদ্রাসা ছাত্র ইয়াছিনকে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, অভিযুক্ত শাহ আলম বৈদেশীহাট পশ্চিমপাড়া নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাবা মো.সামিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলেকে বড় একজন আলেম হওয়ার জন্য উক্ত মাদ্রাসায় ভর্তি করাই। সে ভালোভাবে পড়াশোনাও করছে। দুই দিন আগে হুজুরের অনুমতি নিয়ে সাইকেল নিয়ে ছুটিতে বাড়ি আসে ইয়াসিন। একদিন দেরি করে মাদ্রাসায় আসায় তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন তিনি।’

চিরিরবন্দরে ৫০ শয্যা হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক বলেন, ‘রোগীর বাম চোখ, বাম হাত, বাম পা ও নাক ফেটে গেছে এবং শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।